বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) সংস্থাপক তথা প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকার্নোর (Sukarno) তৃতীয় কন্যা সুকমাবতী সুকার্নোপুত্রি (Sukmawati Sukarnoputri) মঙ্গলবার ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতনী হিন্দু ধর্ম আপন করে নেন। এরপরই ইন্দোনেশিয়ার ৫০০ বছরের পুরনো ভবিষ্যৎবাণীর কথা স্মরণ করছে সবাই। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘আমি আসব, হিন্দু ধর্মও আবার ফিরবে।”
সুকমাবতী কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিজের ৭০ তম জন্মদিনে ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম আপন করে নেন। করোনার মহামারীর কারণে ওনার ঘর ওয়াপসির এই অনুষ্ঠানে মাত্র ৫০ জনই উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন। যার মধ্যে পরিবারের মানুষের সংখ্যাই বেশি।
সুকমাবতীর স্বইচ্ছায় ধর্মান্তকরণের এই অনুষ্ঠানের জন্য ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালির সুকর্নো সেন্টার হেরিটেজ এরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সুকমাবতীর প্রয়াত ঠাকুমা এই ধর্মান্তকরণের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ ভূমিকা অর্জন করেছেন। কারণ তিনিই হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন আর হিন্দুও ছিলেন।
লক্ষণীয় বিষয় হল, আজকের দিনে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ মুসলিম দেশ। কিন্তু এক সময় সেখানে হিন্দু ধর্মের মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে জানা যায়। যদিও, সেখানে ইসলামের আগমনের পর হিন্দুদের সংখ্যা কমতে থাকে। আর এখন দেশের হিন্দুদের সংখ্যালঘুর তকমা দেওয়া হয়েছে। তবে আজও ইন্দোনেশিয়া নিজেদের পূর্বপুরুষ বিশেষ করে রাজা জয়ভয় আর পুরোহিত সবদাপালন-র ভবিষ্যৎবাণীতে বিশ্বাস রাখেন।
সবদাপালন ইন্দোনেশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী মজাপহিত সাম্রাজ্যের রাজা পঞ্চম ব্রবিজয়-র দরবারে একজন সামান্য পুরোহিত ছিলেন। যখন দেশে ইসলামিকরণ শুরু হয়, আর ১৪৭৮ সনে রাজা পঞ্চম ব্রবিজয় ইসলাম ধর্ম আপন করে নেন। তখন সবদাপালন রজাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। উনি দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর দুর্নীতির অভিশাপ দিয়ে ৫০০ বছর পর ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইসলামের হাত থেকে ইন্দোনেশিয়াকে মুক্ত করা আর সেখানে আবারও হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন।