ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেও পূরণ হয়নি মনস্কামনা, রাগে মন্দিরে ভাঙচুর ব্যক্তির

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিজের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে মন্দিরে যান লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেখানে গিয়ে ভগবানের আরাধনার মাধ্যমে মনোবাঞ্ছার কথা ব্যক্ত করেন। অনেকেই আশা করেন, ভগবান তাঁদের মনের কথা শুনে তা পূরণ করবেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়তো হয় না। তাতে ভগবানের উপর আক্রোশ আসার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।

তবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক যুবক কিন্তু তা করলেন না। মনোবাঞ্ছা পূরণ না হওয়ায় ভগবানের উপর রীতিমতো আক্রোশ প্রকাশ করলেন তিনি। রাগের বশে মন্দিরে গিয়ে ভাঙচুর (Temple vandalization) চালালেন, ভেঙে ফেললেন দেবতার বিগ্রহ। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশের পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। যদিও আরও কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা জানতে জেরা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।’

Temple vandalization

বৃহস্পতিবার ইন্দোরের ছত্রিপুর থানা ও চন্দননগর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সি শুভম কৈথ্বাস দু’টি মন্দিরে হামলা চালায়। তার মধ্যে একটির বিগ্রহ ভেঙে দেয়। মন্দির ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছন পুলিশের উচ্চস্তরের আধিকারিকরাও। কাছের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন তাঁরা। এরপর শুভমকে গ্রেফতার করা হয়।

Temple vandalization

ততক্ষণে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। মন্দিরের সামনে উত্তেজিত জনতার ভিড় জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। ধৃত শুভম কৈথ্বাস পুলিশকে জানিয়েছে, তার একটি চোখে সমস্যা রয়েছে। চোখ সারিয়ে তুলতে মন্দিরে গিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিল সে। কিন্তু সমস্যা না সারায় ভগবানের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে সে। 

সেই ক্রোধ থেকেই মন্দিরে গিয়ে ভাঙচুর চালায় শুভম। ধৃতের যুক্তি শুনে থতমত খেয়ে যায় পুলিশও। শুভমের বিরুদ্ধে এর আগে কোনও রকম অভিযোগ ছিল কি না, সেই তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দেবতার কাছে সেরে ওঠার প্রার্থনা করত অভিযুক্ত। কিন্তু দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তার থেকে আক্রোশের বশে মন্দির ভাঙচুর করে সে। যদিও ঘটনার অন্য কোনও দিক রয়েছে কি না, তা জানতে মন্দিরের আশেপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর