শরীর জুড়ে কাঁটাছেড়া, নিজেকে বদলাতে গিয়েই অকালে চলে গেলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, আক্ষেপ ইন্দ্রাণীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কাছে বড়ই মন খারাপের দিন আজ। ন বছর আগে এই দিনেই চিরতরের জন‍্য ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)। সকাল সকাল খবরটা ঝড় তুলেছিল সিনেপাড়ায়। টলিউড ভেঙে পড়েছিল তাঁর বাড়ির সামনে। নক্ষত্রকে খুইয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল স্টুডিও পাড়া।

নয় বছর পর আজ আবারো সেই দিন। তারকাদের স্মৃতিতে ঘুরে ঘুরে আসছেন ঋতুপর্ণ। অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের (Indrani Halder) আক্ষেপ, নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়েই বড্ড তাড়াতাড়ি বিদায় নিলেন ‘ঋতুদা’। কত কিছুই তো করার ছিল তাঁর। টলিউড সেভাবে পেলই না ঋতুপর্ণকে।

Banner 8
আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে ইন্দ্রাণীর লেখায় এসে ভিড় করেছে স্মৃতিরা। ১৯৯৭ সালে ঋতুপর্ণ পরিচালিত ‘দহন’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালকের সঙ্গে বড়পর্দা, ছোটপর্দা দুদিকেই কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইন্দ্রাণীর।

‘বাহান্ন এপিসোড’ নামে একটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নামের সঙ্গে সামঞ্জস‍্য রেখে ঠিক ৫২ টি পর্বেই শেষ হয়েছিল সে সিরিয়াল। ইন্দ্রাণী জানান, তাঁর অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা করতেন ঋতুদা। তিনিও পরিচালককে দেখে দেখে বদলেছেন নিজের অভিনয়ের ধারা। শিখেছেন নিজেকে সাজানো, বাড়ি সাজানোর ধরণ।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন ক্ষণজন্মা। একাধিক দিকে তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছিল‌। যেটাতেই হাত দিতেন সেটাই যেন সুন্দর হয়ে উঠত। কিন্তু সেই প্রতিভাকে যোগ‍্য কদর দেওয়ার সময়ই পেল না ইন্ডাস্ট্রি। সময় দিলেন না ঋতুপর্ণ নিজেই।

ইন্দ্রাণীর অভিযোগ, নিজেকে বদলাতে গিয়েই অকালে চলে গেলেন ঋতুদা। ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। তার উপরে শরীর জুড়ে কাঁটাছেড়া, প্লাস্টিক সার্জারি। শরীরে সয়নি। যেদিন পরিচালক প্রয়াত হন সেদিন কলকাতার বাইরে ছিলেন ইন্দ্রাণী। শেষ দেখা দেখতেও আসতে পারেননি। সেই আক্ষেপ মেটার নয় অভিনেত্রীর।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর