বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্পেন সফর থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মেদিনীপুরে (Medinipur) ইস্পাত কারখানা (Steel Factory) গরছেন তিনি। শালবনীতে জিন্দল গোষ্ঠীর থেকে ফেরত নেওয়া জমির অংশ ইস্পাত কারখানার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছিল। এবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সেই জল্পনাই আরও জোড়ালো হল।
শালবনিতে (Salboni) জিন্দলদের জমির পাশে তৈরি হবে শিল্প পার্ক। মিললো রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় শিল্প পার্ক তৈরির অনুমোদন দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে রয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে মন্ত্রীসভার বৈঠক আয়োজিত হয়।
বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, শালবনিতে জিন্দলদের দেওয়া জমি বাদে বাকি ৯৭৯ একর জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। আর বাকি ১৩২ একর জমিতে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘শালবনিতে ৪,১০২ একর জমি রয়েছে। সেখানে জেডব্লিউএস গ্রুপের প্রকল্প রয়েছে। বাকি জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বদলে যাবে আবহাওয়া! ফের হবে বৃষ্টি? বিরাট আপডেট দিল হাওয়া অফিস
প্রসঙ্গত, বাম জামানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ইস্পাত কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার জন্য ৪,৩৩৪ একর জমি জিন্দল গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই কারখানা তৈরী নিয়ে বহু জলঘোলা হয়। পরে বাম সরকারের পর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর জিন্দলদের একটা কারখানা উদ্বোধন করেন। যদিও তাদের যতটা জমি দেওয়া হয়েছিল তার সবটা ব্যবহার হয়নি। ১৫০০ একর জমি শিল্পের জন্য রাখে জিন্দল গোষ্ঠী। মুখ্যমন্ত্রী জানান যেই জমি দরকার হয়নি তা জিন্দল গোষ্ঠী ফেরত দিয়েছে। জিন্দলদের ফেরত দেওয়া সেই জমিই শিল্প গড়ায় লক্ষ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান।
যদিও সূত্রের খবর, জিন্দলদের ফেরত দেওয়া ওই বিপুল পরিমাণ জমির সবটা সৌরভকে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারখানা গড়তে ঠিক যতটা জমি প্রয়োজন ততটাই দেওয়া হবে। এই ইস্পাত কারখানা প্রসঙ্গে স্পেন থেকে সৌরভ বলেছিলেন, “অনেকদিন ধরেই কাজ চলছিল। মমতা দি, দ্বিবেদী স্যর সকলেই খুব প্রশংসা করেছেন। ক্লিয়ারেন্স হয়ে গিয়েছে। কনস্ট্রাকশনের কাজও শুরু হয়ে যাবে। দু’টো প্লান্ট আরও আছে। একটা দুর্গাপুর আসানসোলে, আরেকটা পটনাতে। এটা মেদিনীপুরে হবে। নতুন প্রজন্ম, যুব সম্প্রদায়ের ওদের জন্যই বিনিয়োগ দরকার, বাংলায় বড় শিল্প আসা দরকার। আমার কাছে যুব সম্প্রদায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”