অবশেষে মিলল বড়সড় স্বস্তি! গত ১৮ মাসের মধ্যে এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার হল সর্বনিম্ন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবশেষে মিলল সুখবর! জানা গিয়েছে, এবার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail Inflation) হ্রাস পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম মাসে, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। এদিকে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এটি ছিল ৫.৬৬ শতাংশ।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একটানা তিনমাস যাবৎ মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ কমেছে এবং এটি বিগত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি, এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির (Food Inflation) হারও কমে গিয়েছে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ৪.৭৯ শতাংশ থেকে ৩.৮৪ শতাংশে নেমে আসে। এদিকে, এক বছর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল সর্বোচ্চ ৭.৭৯ শতাংশ এবং খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮.৩১ শতাংশ।

দুধের মুদ্রাস্ফীতি থেকে রেহাই নেই: উল্লেখ্য যে, গত এপ্রিলে খাদ্যশস্য ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৩.৬৭ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ১৫.২৭ শতাংশ। এদিকে, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার হল ৮.৮৫ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ৯.৩১ শতাংশ। মশলার ক্ষেত্রে এই হার হল ১৭.৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি, শাক-সবজির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ -৬.৫০ শতাংশ, ডালের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ। এদিকে, মাংস ও মাছের মূল্যস্ফীতি হয়েছে -১.২৩ শতাংশ। পাশাপাশি, তেল ও চর্বির মুদ্রাস্ফীতি হল -১২.৩৩ শতাংশ।

এদিকে, আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি কমার পর ব্যয়বহুল ঋণ থেকে মুক্তির অনুমান করা যাচ্ছে। বর্তমানে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি RBI-এর টলারেন্স ব্যান্ডের মধ্যেই রয়েছে। RBI-এর মুদ্রাস্ফীতির টলারেন্স ব্যান্ডের আপার লেভেল ৬ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এদিকে আগামী জুন মাসের ৬ থেকে ৮ তারিখ RBI-এর মুদ্রানীতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

inflation rate

এমতাবস্থায়, আগামী ৮ জুন, RBI তার MPC বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। মূলত, মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে সবকিছু ঠিক থাকলে সস্তায় ঋণের আশা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, RBI-এর অনুমান অনুযায়ী, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৩-২৪ সালে ৫.২০ শতাংশ হবে। অর্থাৎ খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার RBI-এর বার্ষিক অনুমান থেকেও নিচে নেমে এসেছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর