বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত-মলদ্বীপ বিতর্কের (India- Maldives Controversy) আবহে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে লাক্ষাদ্বীপ (Laskhadweep)। শুধু তাই নয়, লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনকে আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করে তুলতে ইতিমধ্যেই একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, লাক্ষাদ্বীপের ভোল পাল্টে দিতে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়িত করা হচ্ছে বলেও PTI সূত্রে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রীর করা অবমাননাকর মন্তব্যের কারণে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর নয়াদিল্লি লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটকদের কাছে মলদ্বীপের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এদিকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীও লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন।
PTI জানিয়েছে যে, লাক্ষাদ্বীপে আরও বেশি পর্যটক আনতে, সরকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি, পরিবহণের দিকে নজর দিয়ে আগাত্তি বিমানবন্দরের রানওয়েকে ২,৮০০ মিটার সম্প্রসারণের জন্য L&T-এর সাথে ৪,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন করেছে। আগাট্টি ছাড়াও, সরকার মিনিকয় দ্বীপে একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করছে। যেটি একদম মলদ্বীপের পাশে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত! মালয়েশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট “রদ” করল শরিয়া আইন, রেগে আগুন কট্টরপন্থীরা, চলল বিক্ষোভ
PTI জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ফ্লাই 19 এবং স্পাইসজেটকে আগাত্তি দ্বীপে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিগো বুধবার দ্বীপ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করেছে। ওই সংস্থাও সেখানে ফ্লাইট শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে, ফ্লাই 19 আশা করছে যে, এই মাসের শেষ নাগাদ তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ফের অ্যাকশনে আন্দোলনকারীরা! কেন্দ্রীয় হরে DA না মেলায় রাজ্য সরকারকে বড় হুমকি
এদিকে, টাটা গ্রুপ ইতিমধ্যেই লাক্ষাদ্বীপের সুহেলি, মিনিকয় এবং কদমত এই তিনটি দ্বীপে তাজ রিসর্টের প্রস্তাব সামনে এনেছিল। এর মধ্যে সুহেলি ও কদমত দ্বীপে রিসর্ট নির্মাণের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে। যেগুলি হবে ভারতের প্রথম লেগুন ভিলা। পাশাপাশি, প্রতিটি রিসর্টেই থাকবে ১০০ টিরও বেশি রুম।