বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জড়াল শাসক দলের নাম। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদীয়ার শান্তিপুর থানা গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরি ডাঙ্গা মেদিয়াপাড়া এলাকা। লক্ষ্য ছিল পানীয় জল নেওয়া। আর জল নেওয়াকে কেন্দ্র করেই প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দুই দলের মধ্যে। তারপর সেই বচসা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে এবং পরে বোমাবাজির মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মী। এমনকি, এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ কমপক্ষে কুড়িজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কিছু মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় টাইম কলের জল নেওয়ার সময়। পরবর্তী সময়ে সেই বাকবিতণ্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এর পরেই ইটবৃষ্টি শুরু হয় আবু আর আনোয়ার নামের দুই তৃনমূল নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে। দুই পক্ষের তরফ থেকে বোমাবাজি চলতে থাকে মুড়ি-মুড়কির মতো। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রানাঘাট মহাকুমার এসডিপিও হাজির হন সংশ্লিষ্ট এলাকায়। চার পুলিশকর্মীর চোট লাগে এই বোমাবাজি এবং ইঁট বৃষ্টির জেরে।
আনোয়ার দলের এক মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমরা সরকারি টাইম করে জল নিতে গিয়েছিলাম। সেই সময় আবু দলের লোক আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তারপর ইট নিয়ে আমাদের দিকে ছুড়তে থাকে। এমনকি পুলিশ এলে তাদের দিকে তারা ইট ও বোম ছোড়ে।’
আবুর দলের লোক জানিয়েছেন, ‘কলে জল নেওয়া নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত হয়। আনোয়ার আমাদের দিকে বোমাবাজি করে। আর পুলিশ এসে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকি আমাদেরকে মারধর করেছে আনোয়ারের দলের লোকেরা।’
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। শুধু তাই নয়, ক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে লাঠিচার্জ শুরু হয় পুলিশের তরফে। পাশাপাশি একাধিক তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী টহলদারী করছে। ঘটনার জেরে এখনো উত্তপ্ত গোটা এলাকা।