বাংলাদেশে নিজেদের মধ্যেই বাড়ছে “দ্বন্দ্ব”, চরম আতঙ্কে সরকার, কী করবেন ইউনূস?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে অনুঘটকের কাজ করেছিল বিএনপি ও জামাত। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি করছে এই দুই রাজনৈতিক দল। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমিও একে অপরকে ছাড়তে নারাজ তারা।

নোংরা লড়াই চলছে বাংলাদেশে (Bangladesh)

এবার বিএনপি-জামায়াতের (BNP-Jamaat) এই কাজিয়ায় আশঙ্কার সুর খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বুধবার নজরুল লেখেন, ‘নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিই ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচেয়ে বেশি হতাশ লাগে।’

আরোও পড়ুন : ক্ষমতায় নেই কেজরি! এবার কী হবে সাধের শিশমহলের? বড় ঘোষণা নতুন মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশে (Bangladesh) হাসিনা পরবর্তী যুগে একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত হবে নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তা নিয়ে টালবাহানা চলছে দুই শিবিরেই। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে সংস্কারমূলক নীতি নিয়েও জলঘোলা করতে ছাড়ছে না এই দুই রাজনৈতিক দল।

আরোও পড়ুন : হাতে মাত্র ৩ দিন! রাজ্যের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! এবার জোর বিপাকে BJP বিধায়ক হিরণ?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সংগঠন রয়েছে সেই নিয়েই মূলত সৃষ্টি হচ্ছে দ্বন্দ্ব। বিএনপি আশঙ্কা করছে, জামায়াত নিজেদের ভিত শক্ত করতে ব্যবহার করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের। ছাত্ররা পরিচালিত হচ্ছে জামায়াতের অঙ্গুলিহেলনেই। এমনকি বিএনপির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা ও জামায়াতের পরামর্শে সরকার চালাচ্ছেন ইউনূসও (Mohammad Yunus)।

পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত মতের অমিল হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের। বিএনপির অভিযোগ, তাদের ছাত্র সংগঠনকে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাঁড়াতেই দেওয়া হচ্ছে না। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি তৈরি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতের ছাত্র শাখা ইসলামি ছাত্র–শিবির।

Inner Clash in Bangladesh

এহেন পরিস্থিতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার একটি সভায় বলেন, ‘জনগণের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে সরকারের ওপর জনগণ আস্থা হারাবে। আমি আগেই বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে ফ্যাসিস্ত সরকারের দিকে যেতে চাইলে জনগণ মেনে নেবে না।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর