বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের বিস্কুট ও নুডলস এর মত শুকনো খাবারের চাহিদা বিপুল ভাবে বেড়েছে। পার্লে জানিয়েছে, গত ৮০ বছরে তাদের এত বেশি পার্লে জি (parle g) বিস্কুট বিক্রি হয় নি। এবার ইন্সট্যান্ট নুডলস ম্যাগির (Maggie) নির্মাতা নেসলে জানাল, লকডাউনে তাদের বিক্রি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশী।
করোনা লকডাউনের কারনে বন্ধ ছিল অধিকাংশ খাবারের দোকান। ফলে ইচ্ছে হলেই দোকান থেকে খাবার কিনতে পারেনি মানুষ। এমন অবস্থায় খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি তৈরি হয় এমন খাবার হিসাবে জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট নুডলস ম্যাগির চাহিদা প্রায় এক চতুর্থাংশ বেড়েছে।
নেসলে জানিয়েছে, চাহিদা বাড়ার কারণে অনেকেই বড় প্যাক সংরক্ষণ করেছে কারণ ছোট প্যাকেট পাওয়া শক্ত ছিল। এই বড় প্যাকটিতে 24 ম্যাগি নুডলস কেক রয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও, গ্রাহকরা স্টক শেষ হওয়ার ভয়ে বিপুল পরিমাণে মজুদ ম্যাগির বড় প্যাকেট মজুত করতে শুরু করেছিলেন। যার জেরে বিক্রি বেড়েছে ২৫ শতাংশ। প্রায় 12,000 কোটি টাকার টার্নওভার নিয়ে নেসলে ইন্ডিয়ার প্রধান জানিয়েছেন যে সংস্থাটি তার সমস্ত কারখানায় কাজ বাড়িয়েছে।
ম্যাগি, পার্লে জি ছাড়াও লকডাউনে উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি বেড়েছে ব্রিটানিয়ার গুডডায়, টাইগার, বোরবান, মারি, মিল্ক বিকিস এবং পার্লে মোনাকো, হাইড ও সিক, ক্র্যাকজ্যাকের। যদিও সব তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘গরীবের বিস্কুট’ পার্লে জি। পার্লে জি একই সাথে যেমন সস্তা, পাশাপাশি পেটও ভরায়। তাই লকডাউনে হু হু করে বেড়েছে পার্লে জি’র বিক্রি। আবার পরিযায়ী শ্রমিক থেকে আমফান দুর্গতদের সাহায্য করতে যে ত্রান বিলি করা হয়েছে, সেখানেও ত্রান দাতাদের প্রথম পছন্দ ছিল এই বিস্কুট।
পার্লে প্রোডাক্টসের সিনিয়র ক্যাটাগরি প্রধান মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, লকডাউনে পার্লে জির বিপুল বিক্রির কারনে সংস্থার বাজারের শেয়ারের দাম সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, গত ৩০ থেকে ৪০ বছরে কখনও এত বৃদ্ধি দেখেনি পার্লে।
শাহ জানান, দক্ষিণ ভারতে সুনামির সময় কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে এবং এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প ও অন্যান্য বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তখন বিক্রি বাড়লেও এতখানি বিক্রি বাড়েনি এই বিস্কুটের। জানা যাচ্ছে, কম করে ৩ কোটি পার্লেজি বিস্কুটের প্যাকেট ত্রান হিসাবে বিলি করা হয়েছে।