বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারা বিশ্বে চায়ের থেকে জনপ্রিয় পানীয় আর কিছু নেই।সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে চায়ের বিকল্প আর কিছু হতে পারেনা। পিছিয়ে নেই কফিও। ঘুম দূরে রাখতে কফি খুবই কার্যকর একটি পানীয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত দুই থেকে তিন কাপ চা বা কফি তো খেয়েই থাকি আমরা। অনেকেরই সেই সংখ্যাটা পাঁচ ছয়ও হয়। অফিসে বা দোকানে নানা কাজের মাঝে ছোট্ট চা পানের বিরতি নিতে দেখা যায় অনেককেই। সেই সব দোকানে সাধারনত প্লাস্টিকের কাপই বেশি দেখা যায়। সেই কাপেই প্রতিনিয়ত চা বা কফি পান করে থাকি সকলেই। কিন্তু জানেন কি এই প্লাস্টিকের কাপে চা কফি পান করেই শরীরের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনছি নিজেরাই?
চিকিৎসকদের মতে প্লাস্টিকের কাপে কোনও পানীয়ই পান করা উচিত নয়। শুধুমাত্র বড়দের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য নয়। তাঁরা বলছেন, শিশুদের দুধ খাওয়ার বোতলও প্লাস্টিকের হওয়া একেবারেই উচিত নয়। প্লাস্টিকের পাত্রে খাবারও খাওয়া ঠিক নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের পাত্রে থাকে বিসফনল এ নামে একচি মারাত্মক ক্ষতিকারক রাসায়নিক। গরম খাবার বা পানীয়ের সংস্পর্শে এলে লসেই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের স্বাভাবিক ক্ষরন বিঘ্নিত হয়। প্রভাব পড়তে পারে হরমোনের কাজেও। পাশাপাশি ক্ষতি হতে পারে হার্ট, লিভার, ফুসফুস ও ত্বকেরও।
প্লা্স্টিকের পাত্র তৈরি করতে ব্যবহার হয় পলিভিনাইল ক্লোরাইড। পিভিসিকে নরম করতে ব্যবহৃত হয় থ্যালেট। আমাদের শরীরে এই থ্যালেট প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট, স্থূলতা, অটিজম, স্তন ক্যানসারের মতো রোগ। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাস্টিকের বদলে মাটির ভাঁড়ে চা খান। এতে খাবার বা পানীয়ের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না। উপরন্তু পরিবেশও দূষিত হয়না।