বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইসলাম (Islam) ধর্মের অপমান। এরই সঙ্গে অধার্মিক কথাবার্তা বলার জের! পাকিস্তানের (Pakistan) এক মুসলিম নাগরিককে ফাঁসির সাজা শোনাল সে দেশের আদালত। সঙ্গে ২৩ বছরের জেল হেফাজত ও প্রায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে খবর। পাকিস্তানে ধর্মের অপমানের অভিযোগে এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরেছে উত্তেজিত জনতা। বাদ পড়েনি বিদেশি নাগরিকও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম প্রান্তের বাসিন্দা সৈয়দ মহম্মদ জিসান। তাঁর বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে অধার্মিক বার্তা দেওয়া, ধর্ম সংক্রান্ত অপমানজনক কথাবার্তা বলার অভিযোগ প্রকাশ্যে ওঠে। পাঞ্জাব প্রদেশের তালাগাং এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সৈয়দ তদন্তকারী সংস্থার কাছে জিসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। জিসানের বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিন অপরাধ দমন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়। এরপরই জিসানের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মামলা পেশোয়ার আদালত শুক্রবার সাজা ঘোষণা করে।
পেশোয়ার আদালতের বিচারপতি জিসানকে ফাঁসির সাজা দেন। এরই সঙ্গে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার জরিমানা ও কারাদণ্ডের সাজাও দেন। যদিও এর বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাতে পারেন। যদিও এই প্রথম নয়, আর আগেও ইসলাম ধর্মের অপমানের অভিযোগে একাধিক পাক নাগরিককে গণপ্রহারে প্রাণ হারাতে হয়েছে। বিদেশি নাগরিককে ফাঁসির সাজা দিয়েছে পাক আদালত।
এর আগে, ৩৩ বছর বয়সী জুনাইদ হাফিজকে ২০১৩ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয়। নবী মুহাম্মদকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অসম্মানসূচক মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এই আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন করার জন্য কখনো কখনো শুধু অভিযোগই যথেষ্ট হয়।
জুনাইদ হাফিজের পক্ষে তার প্রথম আইনজীবী ২০১৪ সালে এই মামলার দায়িত্ব নেওয়ার সে বছরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কারাগারেও অন্যান্য কয়েদিরা জুনাইদ হাফিজের ওপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করলে বেশ কয়েক বছর তাকে নির্জন কারাবাস ভোগ করতে হয়। মুলতানের যেই কারাগারে মি. হাফিজকে আটক রাখা হয়েছিল, সেই কারাগারের আদালতই তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।