বাংলা হান্ট ডেস্ক : পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র (Nuclear Bomb) যে কী পরিমাণ ধ্বংস আনতে পারে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকি। আর এখন তো বিশ্বের বহু দেশের কাছেই মজুদ রয়েছে এই বিধ্বংসী হাতিয়ার। এই বোমা এতটাই বিপজ্জনক যে, সৃষ্টিকে ধ্বংস করতে সময় লাগবে কয়েকটা মিনিট। কয়েক মুহুর্তের মধ্যে গোটা মানব জাতির অস্তিত্ব মুছে দিতে পারে।
আর এই কারণেই পরমাণু সমৃদ্ধ দেশগুলো কীভাবে এসব অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ করছে, কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার হিসাব রাখে আন্তর্জাতিক সংস্থা নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ (Nuclear Threat Initiative)। অস্ত্র ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র নীরস্ত্রীকরণ করাই এ সংস্থার প্রধান কাজ। সম্প্রতি এই সংস্থাটি একটি নিরাপত্তা সূচক প্রকাশ করেছে যেখানে পাকিস্তান (Pakistan) ভারত (India), ইরান (Iran) এবং উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকে উপরে স্থান পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আগের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। এই মুহূর্তে পড়শীদেশটি রয়েছে ১৯ নম্বরে। তারপরেই ২০ নম্বরে রয়েছে ভারত। এবং ইরান ও উত্তর কোরিয়া রয়েছে ২২ তম স্থানে। অন্যদিকে, পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তার দিক থেকেও পাকিস্তানের সূচক ভারতের চেয়ে ভালো।
মোট ৪৭ টি দেশের তালিকায় পাকিস্তান পেয়েছে ৬১ পয়েন্ট। যেখানে ইসরায়েল ও রাশিয়ার প্রাপ্ত পয়েন্ট হল ৩২। যেখানে ভারত ৫২ পয়েন্ট নিয়ে ৪০ নম্বরে রয়েছে। ১৭৫ টি দেশ ও তাইওয়ান পারমাণবিক নিরাপত্তার অবস্থা মূল্যায়ন করে। ১ কিলোর বেশি পারমাণবিক উপাদান রয়েছে এমন ২২ টি দেশের সমস্ত হিসেব দেখভাল করা হয়। দেখা হয় দেশগুলি পরমাণু বোমা চুরি বা তাদের অপব্যবহার ও নিরাপত্তার খাতিরে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এছাড়াও তাইওয়ান এবং সেই ১৫৪টি দেশকেও মূল্যায়ন করা হয়েছে, যাদের এক কেজির কম বা কোনো অস্ত্রে পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি। যদিও এনটিআই গ্লোবাল পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে পারমাণবিক উপাদান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে যে, পাকিস্তান ছাড়াও আরও অনেক দেশ অস্ত্র তৈরির জন্য পারমাণবিক উপাদানের মজুত বাড়াচ্ছে।