বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশী এক দেওরের সাথে মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছিল গ্রামে। এমনকি, সেই খবর এসে পৌঁছেছিল ওই মহিলার সৎ ছেলের কানেও। যদিও, এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ কারোর কাছেই ছিলনা।
কিন্তু, গত শনিবার রাতেই আসে সুযোগ। সৎ মা এবং তাঁর “প্রেমিক”কে “ঘনিষ্ঠ” অবস্থায় এক্কেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ছেলে। কিন্তু, এহেন ঘটনায় ধরা পড়ে যাওয়ার পরই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই যুগল। পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নেন তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার উস্তি থানার একতারা এলাকার জ্বালানি পাড়ায়। এদিকে, খবর পেয়েই রবিবার সকালে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে যে, মৃতদের নাম হল বাসনা পুরকাইত (৩৪) এবং মানস সাউ (২৯)।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী মন্ডলের সাথে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় বাসনার। তিনি ছিলেন পিনাকী মন্ডলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। এদিকে, স্বামী ও সৎ ছেলে বাইরে থাকার সুযোগে এক প্রতিবেশী দেওর মানসের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন বাসনা।
রায়পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকতেন মানস। তাঁর আসল বাড়ি সাগরের সাপখালিতে। হিন্দুস্তান পার্কের কাছে মানস একটি কাজ করতেন বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, শনিবার তাঁরা ধরা পড়ে যান বাসনার সৎ ছেলের কাছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুগল।
এদিকে, এমন ঘটনা যে ঘটতে চলেছে তা ভাবতে পারেননি কেউই। এই প্রসঙ্গে মহিলার সৎ ছেলে সুদীপ পুরকাইত জানান যে, শনিবার রাতে বাসনা ও মানসকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। তবে কাউকে কিছু বলেননি। কেবল একটি ছবি তুলে তাঁদের ছেড়ে দেন।
এরপর রবিবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি বাসনাদেবী। তারপরেই দরজা ভেঙে দেখা যায় যে, তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি, পাশের বাড়িতে মানস সাউও আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই এই জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।