বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ধর্ষণ না। নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ায় বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সম্বন্ধিত একটি মামলায় বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ক্ষেত্রে জোরালো প্রমাণ না থাকলে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পুরুষকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক রায়ে তোলপাড়!
এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আইনজীবী জানান, বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের একটি মামলায় পুলিশ ধর্ষণের ধারা রুজু করে। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করে অভিযুক্তের আইনজীবী। সেই মামলায় ২০১১ সালের জুলাই মাসে অভিযুক্তকে আইপিসি ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়া অতিরিক্ত দায়রা আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর সেই ব্যক্তি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়। এবার সেই মামলাতেই বড় পর্যবেক্ষণ জাস্টিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় সহমতের ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন না। এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করতে গেলে তাঁকে জোরালো প্রমাণ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ’৩০ মিনিট সময় দিলাম, না বেরোলে…’! পুলিশের সামনেই তৃণমূল নেতার হুমকি! জোর শোরগোল
বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় (Justice Ananya Bandyopadhyay) বলেন, ‘সম্পূর্ণ সজ্ঞানে সহমতের ভিত্তিতে কোনও একজন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ আনতে গেলে অভিযোগকারী মহিলাকে অকাট্য প্রমাণ দিতে হবে। গ্রহণযোগ্য কোনও প্রমাণ ছাড়া কোনও মহিলা কোনও পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারেন না তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন’।
এই মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বক্তব্য, অভিযোগকারী মহিলা নিজেই বলেছেন কোনও প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ ছাড়া তিনি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ওই পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। আবার সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। বহু পুরুষকে এভাবে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। ‘মহিলারা এভাবে পুরুষের বিরুদ্ধে আইনকে ব্যবহার করতে পারেন না’, বলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।