বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃদ্ধ বয়সে অবসর গ্রহণের পর অধিকাংশ মানুষই কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাই এই অবসর জীবন আরামে কাটানোর কথা ভেবে কিংবা চিকিৎসা করানোর কথা চিন্তা করেও সকলেরই উচিত প্রত্যেক মাসে অল্প অল্প করে টাকা জমানো। যার ফলে বৃদ্ধ বয়সের জন্য টাকা পয়সার চিন্তা করার দরকার পড়ে না।
তাই অবসর জীবনে বয়স্ক মানুষদের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি অনেক আগেই চালু করেছিল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম সংক্ষেপে NPS। যা এই মুহূর্তে আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেনশন স্কিম। শুনতে অবাক লাগলেও এই NPS স্কীমে হাজার টাকা বিনিয়োগ করেও প্রত্যেক মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যেতে পারে।
যার ফলে অবসর গ্রহণের পর একটি নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরি হয়ে থাকে। অবসর গ্রহণের পর আমাদের দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী হাতিয়ার এই NPS ফান্ড। এই পেনশন স্কিমে টাকা রাখলে তা অবসর গ্রহণের বয়সে নিয়মিত মাসিক আয়ের নির্ভরতা দেয়।
আরও পড়ুন: বারবার বেইজ্জত হওয়ার পর অবশেষে মিলল সম্মান! কাঙাল পাকিস্তানে খুশির হাওয়া
তাছাড়া NPS-এ চক্রবৃদ্ধি সুদও দিয়ে থাকে। তাই দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আই আয় আরও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। হিসাব অনুযায়ী কেউ যদি ১৮ বছর বয়স থেকেই NPS-এ প্রতি মাসে ৩৪৭৫ টাকা করে বিনিয়োগ করতে শুরু করে দেন এবং পরবর্তী ৪৭ বছরের জন্যএকটানা বিনিয়োগ করেন তাহলে ৬৫ বছর বয়সে গিয়ে তিনি প্রতি মাসে ১,০০,০০০ টাকার বেশি পেনশন ফান্ড তৈরী করতে পারবেন।
উদাহরণ হিসাযে বলা যায় কেউ যদি ১৮ বছর বয়স ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে জমান তাহলে প্রতি মাসে প্রত্যাশিত রিটার্ন হিসাবে ১২% পেলে মোট ২,৭৫,৪১,৪২৯ টাকার কর্পাস নিয়ে তা শেষ হবে। কেউ যদি সেই টাকা থেকে ৩৭ শতাংশ তুলে নেয়, তাহলে তার আরও ৬৩ শতাংশ অ্যানুইটি থাকবে। কেউ যদি বছরে ৭ শতাংশ রিটার্ন পান তাহলে বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১,০১,৯০,৩২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে পেনশন হিসাবে পাওয়া যাবে মোট ১,০১,২১০ টাকা।