বাংলা হান্ট ডেস্ক: চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে বার্ধক্যের মত একটি কঠিন সময়ে যদি আপনি অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষম থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সময় থাকতে থাকতে বিনিয়োগের প্রয়োজন। তবে, সেই বিনিয়োগ এমন জায়গায় করতে হবে যেখানে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে একদম কম।তাই, আপনি যদি আপনার অবসর জীবন নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর! এখন থেকেই স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যেতে পারেন মোটা অঙ্কের টাকা (Indian rupee)। এইজন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিম আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
আপনি যদি চাকরি শুরু করার সাথে সাথে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করা শুরু করেন, তাহলে অবসর গ্রহণের সময় আপনার কাছে ৩৪ লক্ষ টাকার একটি বিশাল ফান্ড মজুত থাকবে। এর জন্য আপনার বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, প্রতিদিন শুধু ৫০ টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন এই সুবিধা। বর্তমান প্রতিবেদনে এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল।
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীরা ২৫ বছর বয়সেই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এখানে মাসিক বিনিয়োগ করতে হয় ১,৫০০ টাকা। অর্থাৎ, দৈনিক মাত্র ৫০ টাকা। এই স্কিমে ৩৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করলে মোট পরিমান দাঁড়াবে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পাশাপাশি, বিনিয়োগের পরিমাণের উপর প্রাপ্ত মোট সুদ ২৭.৯ লক্ষ টাকা। সুতরাং, পেনশনের সময় মোট জমা হবে ৩৪.১৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, এই স্কিমে মোট সঞ্চয়ীকৃত করের পরিমান হবে ১.৮৯ লক্ষ টাকা।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করার পরে, আপনি যখন অবসর গ্রহণের বয়সে আসবেন, তখন আপনি আপনার বিনিয়োগের ৬০ শতাংশ তুলতে পারবেন। অর্থাৎ, অবসর গ্রহণের সময় ২০.৫১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলার সুবিধা পাবেন। এইভাবে, এই স্কিমটি আপনাকে একটি ভাল রিটার্ন দিতে পারে।
এরপরে, অবশিষ্ট পরিমাণ বার্ষিক স্কিমের অধীনে, প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পেনশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকার যদি ৮ শতাংশ হারে সুদ দেয়, তাহলে আপনি মাসে ৯,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন। ন্যাশনাল পেনশন স্কিম থেকে একসাথে সমস্ত টাকা তোলা যাবে না। বরং এই স্কিমের অধীনে, আপনি মোট পরিমাণের ৬০ শতাংশ তুলতে পারবেন এবং বাকি ৪০ শতাংশ আপনাকে একটি বার্ষিক স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে।