বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতিকে (Recruitment scam) কেন্দ্র করে বারবার বিপাকে পড়ছে রাজ্য সরকার। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নিয়োগ সংক্রান্ত আরোও একটি দুর্নীতি মামলায় ফের একবার সিবিআই (Central Bureau of Investigation) তদন্তের নির্দেশ দিলেন। অভিযোগ উঠেছিল ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ চলাকালীন সময়ে বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে। এবার সিবিআই আধিকারিকরা সেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করলেন।
অভিযোগ উঠেছিল, ২০২০ সালে প্রাথমিকে যে সকল শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে পর্ষদ থেকে প্রাপ্ত নম্বর বিভাজন তালিকায় সমস্যা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই তালিকায় থাকা ১৫-২০ জনের নম্বর ইচ্ছাকৃতভাবে বৃদ্ধি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কিভাবে বাড়ানো হয়েছিল নম্বর? আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই প্রকাশ্যে আসে বিস্ফোরক তথ্য।
জানা যায় যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ৫ নম্বরের জায়গায় বহুক্ষেত্রেই চাকুরিপ্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৬ এর বেশি নম্বর। অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকের জন্য যখন ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয় তখন কিছুজন পেয়ে যান ১৫ নম্বর। প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ ১৫ নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩। আরও অভিযোগ নম্বর বৃদ্ধির এই পুরো প্রক্রিয়াটি করেছে পর্ষদের কনফিডেন্সশিয়াল বিভাগের অধীনে এস বসু রয় অ্যান্ড কোম্পানি।
এরপরেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পর্ষদের কাজ কিভাবে একটি বাইরের কোম্পানি করতে পারে? বিচারপতি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন সিবিআই তদন্তের। এর সাথে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীর চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সংযোজন, প্রয়োজনে অ্যাড হক কমিটির সবাইকে সিবিআই জেরা করবে। প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থা তাদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে। বিচারপতি বলেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই এই তদন্ত শেষ করবে। এই মামলার তদন্ত করবে আদালত গঠিত সিবিআইয়ের সিট। পাশাপাশি এই মামলায় ইডিকে সাহায্য করবে সিবিআই।