বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় একটা প্রচলিত কথা রয়েছে। টাকাই টাকা বাড়ায়। উপার্জন করার জন্য প্রয়োজন টাকার। বিনিয়োগের (Investment) ক্ষেত্রে কত টাকা বিনিয়োগ করবেন সেটা কিন্তু কখনোই প্রধান বিষয় নয়। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কতটা নিয়মিত ও কতটা পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন সেটি হয়ে ওঠে প্রধান কারণ। ভালো রিটার্ন পেতে গেলে আপনাকে সব সময় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে আপনার বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। দেশে এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেখানে মাসে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে।
SIP: মাসিক অল্প টাকা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এসআইপি খুবই জনপ্রিয়। আগ্রহী ব্যক্তি এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডে। চক্রবৃদ্ধির হারে মিউচুয়াল ফান্ডে সুদ লাভ করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান থাকলে আপনি এসআইপির (Systematic Investment Plan) মাধ্যমে অর্জন করতে পারেন বিশাল মুনাফা। যদি আপনি ৫০০ টাকা প্রতি মাসে বিনিয়োগ করেন সে ক্ষেত্রে ১৫ বছর পর ১২ শতাংশ সুদের হারে আপনি পেতে পারেন ৩০ লক্ষ টাকার অধিক ম্যাচুরিটি অ্যামাউন্ট।
পিপিএফ: স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য অনেকেই পিপিএফ (PPF) বেছে নেন। পিপিএফ এ মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করা যায়। এই স্কিমে ১৫ বছরের মধ্যে ম্যাচিউর অ্যামাউন্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি প্রতি মাসে ৫০০ টাকা জমা করেন তাহলে বার্ষিক ৬০০০ টাকা জমা হবে। ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায় পিপিএফ এ। সেই অনুযায়ী ১৫ বছর পর আপনি পাবেন ১,৬২,৭৩৮ টাকা।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: পরিবারে কোনো কন্যা সন্তান থাকলে আপনি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় (Sukanya Samriddhi Account) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি সুরক্ষিত করতে পারেন কন্যার ভবিষ্যৎ। এই স্কিমে সুদ পাওয়া যায় ৭.৬ শতাংশ হারে। ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে কন্যার ২১ বছর পর পাওয়া যায় ম্যাচিওর অ্যামাউন্ট। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি মাসে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ১৫ বছরে মোট ৯০০০০ টাকা জমানো হবে আপনার। এক্ষেত্রে কোনো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না কন্যার ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। পোস্ট অফিস ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে থাকে এই স্কিমে।