বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে যে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) তার পিছনে পিকের (Prashant Kishor) দল আইপ্যাকের (I-pac) ভূমিকা যে কতখানি আলাদা করে না বললেও চলে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসন হারিয়ে যখন রীতিমতো ডুবন্ত নৌকা ঘাসফুল শিবির, তখন সেই তরী তীরে ভিড়িয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক। বাংলার পর এবার ত্রিপুরার দিকে লক্ষ্য দিয়েছে তৃণমূল। একদিকে প্রশান্ত কিশোর এবং অন্যদিকে মুকুল রায় (Mukul Roy) এক্ষেত্রে বড় ভরসা মমতার।
ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ে মমতার ভাষন শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। মাঠে নেমে পড়েছিল টিম আইপ্যাকও। আগরতলা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য জুড়ে জনমত সংগ্রহের কাজে লেগে পরেছিল তারা। ত্রিপুরায় বড় বাধা পেল সেই দল। অভিযোগ রীতিমতো হেনস্থা করা হয়েছে আইপ্যাক কর্মীদের। রবিবার রাত একটা থেকে হোটেলে আটকে রেখে বারংবার জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। পরিচয় জানার নাম করে করা হচ্ছে হেনস্থা।
আগামী লোকসভা ভোটের ঠিক আগের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরায়। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় মোমেন্টাম তৈরি করতে পারলে কাজে অনেকটাই ধাক্কা দেবে গেরুয়া শিবিরকে, তা বলাই বাহুল্য। সেই সূত্র ধরেই গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ চালাচ্ছে আইপ্যাক৷ মঠচৌমুহনি সংলগ্ন পুরানো জেল রোডের একটি হোটেলে রয়েছে কর্মীরা। এনিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার তথা বিজেপি (BJP) সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং। তাঁর কথায়, “এটা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কুঠারাঘাত। একজন ত্রিপুরাবাসী হিসেবে আমি লজ্জিত।”
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আশিসলালবাবু আরও জানান, “রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের নামে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে। ওঁরা শুধু তৃণমূল নয় সমস্ত দলের সঙ্গেই কথা বলছিল। আসলে বিজেপি সবকিছুর মধ্যে ভূত দেখছে।”