বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারতীয় দলের পেসাররা চারটি উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ঠিকই, কিন্ত দিনের শুরুর দিকে স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্যাভিস হেড আগ্রাসী ব্যাটিং করে রানের গতি এতটাই বাড়িয়ে ফেলেছিল যে কতগুলি উইকেট হারানোর পরেও অস্ট্রেলিয়ার ৯৯ রান তুলে ফেলেছে প্রথম সেশনে।
গতকাল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সরাসরি না হলেও রোহিত শর্মার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলতে চেয়েছিলেন যে রবি অশ্বিনের মতো বৈচিত্রপূর্ণ বোলারকে এই ফাইনালে না খেলিয়ে হয়তো রোহিত শর্মা একটু ভুল করে ফেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ছিল তিনজন বাঁ-হাতি ব্যাটার। প্রথমজনকে সিরাজ ভয়ংকর হতে দেননি। শেষজন অর্থাৎ অ্যালেক্স ক্যারি প্রতিবেদনটি লেখার সময় ক্রিজেই রয়েছেন, আর মাঝের জন অৰ্থাৎ হেড মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের মারাত্মক আগ্রাসী একটি ইনিংস খেলে গিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৪৬৯ রানের স্কোর খাড়া করতে পেরেছে ভারতের সামনে প্রথম ইনিংসে। এর মূল কারণ ছিল স্টিভ স্মিথের (১২১) সাথে হেডের ২৮৫ রানের পার্টনারশিপটি। ফাইনালে ভারতের তারকা বোলার মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল। তারা দুজনেই আইপিএলে সফল হয়েছিলেন। তারা যে প্রত্যাশা একেবারেই পূরণ করতে পারেননি এমনটা নয়।কিন্তু যতক্ষণ ট্র্যাভিস হেড পিচে ছিলেন ততক্ষণ তারা দুজন সব গোটা ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে ভুগতে হয়েছিল।
আইপিএলে তিনি নিজের নাম নিলামে দিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে যে স্পিন বোলিংও করে দিতে পারবেন তিনি সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু তাও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে দলে নিতে চায়নি। এরপর সেই আইপিএলের তারকা বোলারদের বিরুদ্ধেই অসাধারণ ব্যাটিং করে তাকে জবাব দিলেন তিনি।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় ভারতীয় দল চা পানের বিরতির আগে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে মাত্র ৩৭ রানের স্কোরে। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন শুভমান গিল এবং রোহিত শর্মা। এখনও ৪৩২ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল।