বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রামপুরহাটের নৃশংস ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের উপর বড়সড় কোপ পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ গ্রামে গিয়েই পুলিশের ভূমিকায় কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি ফেরার পরই খবর ছড়িয়ে পড়ে, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠিকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরে এই নিয়ে নতুন করে গন্ডগোল হয়েছে। একটি সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে, নগেন্দ্র ত্রিপাঠির বদলে বীরভূমের নতুন এসপি হতে চলেছেন ধৃতিমান সরকার। আবার আরেকাংশের মত, এখনও সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তাকে বদলিও করা হতে পারে। গত বছরে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। উত্তেজক এবং মেগা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সুরক্ষার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়েছিল ইলেকশন কমিশন। ভোটের দিন বয়ালের একটি বুথে কারচুপির অভিযোগ পেয়ে সেখানে নিজে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা চলে।
সেই সময় নগেন্দ্র ত্রিপাঠি নিজের উর্দির সম্মান বাঁচানোর সংকল্প করে বলেছিলেন, ‘উর্দিতে দাগ লাগতে দেব না।’ তাঁর দায়িত্ববোধে সন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। সেইজন্যই পরবর্তীকালে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে আনা হয়। তবে বগটুইতে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৮ নিরীহ মানুষের জ্বলে মরার ঘটনায় প্রশ্নের উঠেছে এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠির ভূমিকা।
তার ভূমিকা নিয়ে জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আইসিকে, কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে এসডিপিওকে। তাই সন্ধ্যা বেলা যখন এই খবর রটে যায় সেটাকে স্বাভাবিকই মনে করেছিলেন অনেকে।