নানান টালবাহানার পর অবশেষে দিল্লি থেকে ঘোষিত হল রাজ্য বিজেপির প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা। তৃণমূলের মত বিজেপিরও প্রার্থী তালিকায় যে চমক থাকতে চলেছে তা আগেই আন্দাজ করেছিল বঙ্গবাসী। তবে তা যে কাটাই কাটাই টক্কর হবে তা বোধহয় আন্দাজ করেনি অনেকেই। ২১-র লড়াই যে জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে তার আচ পাওয়া গিয়েছিল শুরুতেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর নাম ঘোষণা থেকেই। তবে নন্দীগ্রামের মতই ডেবরার আসনও যে নির্বাচনে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তণ আইপিএস অফিসার হুমায়ন কবীরকে। তাকে কাঁটার টক্কর দিতেই বিজেপির বড়সড় চমক। ডেবরায় হুমায়নের বিরুদ্ধে বিজেপির সেনাপতি হলেন আরও এক প্রাক্তণ আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। তাকেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ডেবরার প্রার্থী হতে সীলমোহর দিয়েছে।
জানিয়ে দি, হুমায়ন কবির ছিলেন তৃণমূলের অত্যন্ত কাছের অফিসার। তিনি চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন। অন্যদিকে, ভারতী ঘোষও একসময় মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। তাকে সেসময় জঙ্গলমহলের মা বলেও চেনা হত। তবে এই ভারতীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এক সময় এত তলানিতে নেমে যায় যে, তাকে গ্রেপ্তার করতে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছিল রাজ্য পুলিশ।
উল্লেখ্য, মোদীর ব্রিগেডের পরই বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অকস্মাৎ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। তবে ডেবরার বিজেপি বনাম তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেন যে, তিনি ভারতী ঘোষকে ততটা চেনেন না, তবে হুমায়ন কবীর আইপিএস অফিসার থাকা অবস্থাতেই তৃণমূলের নেতা হিসেবে কাজ করছিলেন।