বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি এখনো বিরাজমান আর এরমধ্যেই ইরান ও ইরাকের মধ্যেও উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হলো। রবিবার ইরাকের ইরবিল শহরে অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ইরান থেকে এই হামলা করা হয়। যদিও এই হামলায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ইরাকি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরাকের ইরবিল শহরে মার্কিন কনস্যুলেট লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয়।
কুর্দিস্তানের বিদেশী মিডিয়া অফিসের প্রধান বলেছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটিও নাকি মার্কিন ইনস্টলেশনে আঘাত করেনি। তবে মার্কিন তরফে জানানো হয়েছে, কত ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয়েছে এবং কোথায় গিয়ে পড়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো মার্কিন সরকারি অফিসের ক্ষতি হয়নি এবং চিন্তার কারণ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবশ্য ইরাকি ও মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এই ঘটনা যে আরো ইন্ধন যোগাবে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে আরো ত্বরান্বিত করবে তা বলা যায়। অবশ্য ইরানের একজন মুখপাত্র ইরবিলের হামলায় ইরানের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির মুখপাত্র বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরান যদি প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা গুরুতর এবং শক্তিশালী হবে।” ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, হামলায় বর্তমানে কোন মৃত্যুর খবর নেই। তাদের মতে, এই হামলাগুলি মধ্যরাতের পরে চালানো হয়েছে।
পূর্বে অবশ্য ইরবিলের বিমানবন্দরের একাধিক স্থানে অতীতে রকেট এবং ড্রোন হামলা হয় এবং যার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীকেই দায়ী করেন।