নির্ভয়া নিষ্ঠুরতাকে সহ্য কররছিল এবং জীবন ত্যাগ করেছিল। এই মামলায় এবার দিল্লীতে ৪ জন অমানুষকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল।মুকেশ, বিনয়,পবন ও অক্ষয় নামের ৪ জন অমানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। একজন অপরাধী আগেই আত্মহত্যা করেছিল অন্যদিকে মহাম্মদ আফরোজ নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে ছাড়া আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
তবে বাকি ৪ জন অমানুষকে শেষমেষ আদালত ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি এই রায়কে পাল্টানোর জন্য মানবাধিকার সংগঠন বহু প্রয়াস চালিয়েছিল যা দেশবাসীর চাপে অসফল হয়ে পড়ে।নির্ভার অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার সাথে সাথেই সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল কানপুরের কিদওয়াই নগর ওয়াই ব্লকে, সামাজিক সংগঠনের লোকেরা রাস্তায় ঘুরে এই আনন্দ উদযাপন করেন। লোককে মিষ্টি খাওয়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এই পদযাত্রার লোকেরা।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও অপরাধীরা আশাবাদী ছিল যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা স্থগিত করা হবে, তবে তা হয়নি।তিহার জেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মুকেশ ও বিনয় রাতের আহার সেরেছিলেন। কিন্তু অক্ষয় কেবল চা পান করেছিলেন। আদালতে শুনানি চলার সময় বিনয় কান্নাকাটি করলেও বাকি তিনজন পুরোপুরি শান্ত ছিলেন। গভীর রাতে, যখন অপরাধীরা তাদের ফাঁসি আর থামানো যাচ্ছে না, শুনে খুব চিন্তায় পড়েন। তারা এতোটাই ভেঙ্গে পড়েন যে তাদের অবস্থা বলার মতন নয়।
জ্ঞানেশ মিশ্রা বলেছেন যে আজকের ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করা হবে ,কারন অবশেষে অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আর তিনি একসঙ্গে হোলি, দিওয়ালি, দশরা পালন করছেন। এছাড়াও এদিনি তিনি আরও বলছেন যে গত বেশ কয়েক মাস ধরে চার আসামি নিয়মিত পালানোর চেষ্টা করছিল। তিনি দাবি করে আসছিলেন যে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্ট এ জাতীয় কিছু আইন আনুক যাতে এই জাতীয় আসামিকে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া যায়। আর অবশেষে তা সফল হওয়ায় খুশি দেশের সকল জনগন।