বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনা আবহে হোটেল ব্যবসায় কার্যত ধুঁকছে। শোচনীয় অবস্থা পর্যটন শিল্পেরও। এদিকে, ঘুরতে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ মানুষই কম খরচ করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু অনেক সময় ব্যয় বাজেটের উপরে চলে যায়। তাই, আমজনতার কথা মাথায় রেখেই হোটেল ব্যবসায় নতুন পরিকল্পনা আনতে চলেছে আইআরসিটিসি। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তৈরী হতে চলেছে ‘বাজেট হোটেল’। ইতিমধ্যেই, বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যসরকারগুলির সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছেন আইআরসিটিসির কর্মকর্তারা।
জানা গিয়েছে, রাজ্যগুলির তালিকায় প্রথমেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ডের সরকার। ইতিমধ্যেই এইসব রাজ্যগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে আইআরসিটিসির। একই সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, আসামের সরকারের সঙ্গেও। উত্তরপ্রদেশের লখনউ, বেনারস, অযোধ্যায় ‘বাজেট হোটেল’ তৈরির পরিকল্পনা করছে আইআরসিটিসি। জমি নিয়ে যোগী সরকারের সঙ্গে আলোচনাও হচ্ছে।অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, উজ্জানের জন্যও আইআরসিটিসির তরফে বিশেষ প্রস্তাব পৌঁছে গেছে। সব মিলিয়ে, প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করতে চলেছে আইআরসিটিসি।
সূত্রের খবর, প্রায় শেষের পথে কোহিমাতে বাজেট হোটেল তৈরীর প্রকল্পটি। এদিকে আশা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে প্রকল্পটি চলতি বছরের শেষ বা ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে ৷ এর পাশাপাশি, গুজরাটের কেভাদিয়াতেও বাজেট হোটেলের নির্মাণ কাজ জোর কদমে চলছে বলেই জানা গিয়েছে।
যদিও আইআরসিটিসি এই হোটেলগুলির মধ্যে দিয়ে আয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায় তবে, করোনা আবহে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিশেষজ্ঞ মহল।