বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) মিলল দ্বিতীয় করোনা (COVID-19) ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তি। রোগ অবহেলা করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠল ২২ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতিপত্তিশালী বাবার প্রভাব খাটিয়ে দেশে ফিরেই বিভিন্ন শপিংমল, রেস্তরাঁতে এবং দোকানে ঘুরে দেরাতে দেখা গিয়েছিল এই যুবককে। প্রথমে পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও, বাড়িতে থাকার নির্দেশ অমান্য করে এই যুবক। এবং পরবর্তীতে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় পরীক্ষা করাতেই রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছে এই যুবক। বালিগঞ্জের (Ballygunge) বাসিন্দা এই যুবকের দুটো পরীক্ষার রিপোর্টই পজেটিভ এসেছে। এবং যুবকের দুই বন্ধুও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তাঁদের পরিবারের লোকজন মিলিয়ে মোট ১১ জনকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের আবাসনে আতঙ্ক ছরিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন সকলে। ১৬ ই মার্চ থেকে ওই যুবকের জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ দেখা যায়। বিদেশ থেকে ফেরার সময় ভারতের বিমানবন্দরে যুবকের প্রাথমিক পরীক্ষার মারফত জানানো হয়েছিল, সে সুস্থ। কিন্তু তারপর আবার পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুবকের বাবার বক্তব্য, “আমার ছেলে যে বাইরে বেরিয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়? লোকজনই বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এখন”। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “কলকাতায় আসার আগে এবং আসার পর ওই যুবক ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও আমরা সঠিক করে কিছু জানতে পারিনি। এই ক’দিনে ওই যুবক কার কার সংস্পর্শে তাঁরা এসেছেন, এখন তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর বৃদ্ধ ঠাকুরদা এবং ঠাকুরমাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হচ্ছে।”
প্রথমে কলকাতায় ইংল্যান্ড ফেরত এক আমলার ছেলের শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণকে প্রথমে চিকিৎসা করা হলেও, পরে তার শরীরে এই রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। এবং রোগের তোয়াক্কা না করে তাঁকেও যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই তরুণের চিকিৎসা চলছে। এবং তার পরিবার এবং গাড়ির চালকে ১৪ দিনের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। যার জেরে এখন ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।