বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত এবং চিনের (China) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মোড়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরপর একাধিক জায়গায় সেনা প্রত্যাহার করেছে চিন। এই পদক্ষেপের মাঝেই এবার নতুন চমক দিল ড্রাগন প্রশাসন। চিনের (China) গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘আমরা হাত বাড়িয়েই রেখেছি। ভারত হাতটা আরো একটু বাড়াক’।
সেনা প্রত্যাহারের পর আরো এগোনোর ইচ্ছা প্রকাশ চিনের (China)
উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গালওয়ান, প্যাংগং, গোগরা হট স্প্রিংস, ডেপসাং এবং ডেমচোক অচলাবস্থা বজায় ছিল দীর্ঘ চার বছর। কিন্তু সম্প্রতি একটি চুক্তির মাধ্যমে এই জায়গাগুলিতে সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত এবং চিন (China)। কিন্তু গ্লোবাল টাইমসের বার্তার পর প্রশ্ন উঠছে, ডেমচোক এবং ডেপসাংয়ে সেনা প্রত্যাহার করার পর কি আরো এগোনোর ইচ্ছা প্রকাশ করল চিন?
দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে ভারতকে: গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয় অনুযায়ী, ইউরোপ এবং আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। সেই কারণেই নাকি ভারত চিনের (China) দিকে ঝুঁকেছে। এমন ধারণা কাটানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য ভারত কতটা আগ্রহী সেটা ভারতকেই প্রমাণ করতে হবে বলে লেখা হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে। আর তা করতে গেলে ভারতকে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আর তা কী কী?
আরো পড়ুন : বাস্তব জীবনেও করেছেন ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা! কয়েক কোটির সম্পত্তি নিয়েও এখনো কেন বিয়ে করেননি মুকেশ?
কী কী বিষয়ের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে: গ্লোবাল টাইমসের দাবি অনুযায়ী, ভারতকে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমত, চিনের (China) সম্পর্কে ভারতের নাগরিকদের মনোভাব বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। আর দু নম্বর বিষয় হল, সীমান্তে সংঘর্ষের দিকে ফোকাস না করে আর্থিক এবং সাংষ্কৃতিক আদানপ্রদানের দিকে মন দিতে হবে। গ্লোবাল টাইমস অনুযায়ী, ভারত এই দুই দিকে নজর দিলে দুই দেশের কাছেই নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
আরো পড়ুন : স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় অন্য নায়িকাকে নিয়ে ‘ফুর্তি’ করছিলেন কাঞ্চন! গুরুতর অভিযোগ শ্রীময়ীর
উল্লেখ্য, কূটনীতিকদের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা আরো বাড়ানোর চেষ্টাই করবে চিন (China)। আর গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয় থেকেও পাওয়া গেল একই বার্তা। কিন্তু এর নেপথ্যে কারণ কী? আন্তর্জাতিক মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনই বদলে দিয়েছে অনেক হিসেব নিকেশ। ট্রাম্প এখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই চিনের কথা মাথায় রেখে সাগরে সাতটি মার্কিন নৌ ঘাঁটির আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে।