বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘জুলফিকার’, ‘ককপিট’ এর পর ফের একসঙ্গে বড়পর্দায় দেব (Dev) এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সৌজন্যে, ‘কাছের মানুষ’ (Kacher Manush)। গত বছর যখন এই ছবির প্রথম পোস্টার শেয়ার করেন দেব, তখন থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে প্রকাশ্যে এল কাছের মানুষের প্রথম ঝলক।
দেব ওরফে কুন্তলের মা রোগগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। মাকে বাঁচানোর জন্য দরকার অনেক টাকা। সে সময়েই তার জীবনে হাজির বিমা সংস্থার এজেন্ট সুদর্শন, যে ভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ। না, দেবদূত নয়, বরং মৃত্যুদূত হয়ে কুন্তলের জীবনে পা রাখেন তিনি।
কুন্তলকে বোঝান, কলিযুগে বাঁচতে গেলে প্রয়োজন টাকা। মাকে বাঁচাতে কুন্তল যদি মরে যায় তাহলে লাভ দু পক্ষেরই। টাকা পেয়ে কুন্তলের মায়ের চিকিৎসাও হবে। অন্যদিকে সুদর্শনেরও পকেট ভারী হবে। এদিকে এই সময়েই কুন্তলের জীবনে প্রবেশ করে আরো একজন মানুষ, যে চরিত্রে রয়েছেন ইশা।
তিনি কুন্তল ওরফে দেবকে বোঝান, জীবনে টাকাটাই সব নয়। কাছের মানুষদের কথাও তো ভাবতে হবে। কিন্তু সুদর্শন মরিয়া। জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে শেষমেষ কে জিতবে আর কে হারবে তা জানার জন্য পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ‘কাছের মানুষ’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
নেটনাগরিকদের একাংশের দাবি, ছবির গল্প নাকি ‘চুরি’ করা। এই একই প্লট নিয়ে এর আগে ‘জীবন কাহিনী’ এবং জিৎ স্বস্তিকা অভিনীত ‘পার্টনার’ ছবি তৈরি হয়েছে। একটি পোস্টে অভিযোগ তোলা হয়েছে, কাছের মানুষের গল্প ‘চুরি’ করা। কিন্তু কোথাও কোনো ক্রেডিট দেওয়া হয়নি। এমনকি ওই পোস্টে এমনটাও লেখা হয়েছে, ‘জিৎ যে অফিসিয়াল রিমেক করেন রাইট কিনে সেটা অনেক ভালো অন্তত সততার ভান থাকে না মিশে।’
পোস্টের কমেন্ট বক্সে অবশ্য নেটনাগরিকরা দু রকম মতামত দিচ্ছেন। একপক্ষ পোস্টদাতার বক্তব্যের সঙ্গেই সহমত হয়েছেন। একজন লিখেছেন, শুধু বাংলা নয়, তামিল বা মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতেও একই রকম গল্প রয়েছে। আরেকজনের কটাক্ষ, ‘এইসময়ে এসে এই মুভি দেব না করে জিত করলে এতোক্ষণে ইউটিউবারদের সমালোচনার জ্বালায় ফেবু তে ঢোকা যেত না…তখন সবাই চুরি, চুরি বলে গলা ফাটাতো…এটা যেহেতু দেব করেছে তাই তারা এখন সবাই মাষ্টারপিস আখ্যা দিচ্ছে।’
আরেকজনও লিখেছেন, ট্রেলারটা দেখেই পার্টনারের গল্প বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। অন্যদিকে অপর পক্ষের যুক্তি, একই প্লট নিয়ে অনেক ছবিই হতে পারে। তাছাড়া কাছের মানুষের ট্রেলারের শুরুতেই ‘জীবন কাহিনী’র দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই পোস্টের যৌক্তিকতা কী সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কয়েকজন আবার পোস্টদাতাকে ‘জিৎ ফ্যান’ বলেও দাবি করেছেন।
যদিও নেটমাধ্যমে শুরু হওয়া বিতর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ‘কাছের মানুষ’ টিম। ছবিটির পরিচালনা করেছেন ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’, ‘টোটাল দাদাগিরি’র পরিচালক পথিকৃৎ বসু। আর প্রযোজনার দায়িত্বে দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস।