পাকিস্তান রাজনৈতিক দিক থেকে যে সংকটের সম্মুখীন তা অনস্বীকার্য। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অবস্থা শোচনীয়। যৌথ বিরোধী পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি 28শে মার্চ ‘সংসদে’ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, এর বিরুদ্ধে ইমরান খান 27শে মার্চ ইসলামাবাদের ‘ডি চকে’ দশ লাখ লোক নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে চলেছেন।পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এই অবস্থায় নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমস্যা বেড়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমস্ত প্রতারণা এবং কৌশলের মধ্যে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের খবর, বিরোধীরা দুটি বিকল্প বিবেচনা করছে। একটি হল পাকিস্তান মুসলিম লীগ অন্তর্গত শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করবে এবং সাধারণ নির্বাচন করাবে। দ্বিতীয়টি হল পাঁচ বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকার বানানো কারণ পাকিস্তান বর্তমানে বহু সমস্যার সম্মুখীন আছে।
সূত্রের খবর, নির্বাসিত নেতা নওয়াজ শরিফ নির্বাচনের পক্ষে। রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ইমরান খান হতাশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিরোধী দলের নেতাদেরও তিনি আক্রমণ করেন কড়া ভাষায়। তিনি হুঁশিয়ারিও দেন যে, অনাস্থা প্রস্তাবের আগে ২৭ মার্চ ইসলামাবাদের ‘ডি চক’ এ তিনি দশ লাখ লোক নিয়ে একটি বিক্ষোভ করবেন।
ইমরান খানের ঝামেলা আরো বেড়েছে সকল দল মিলেই ইমরান খানকে অসমর্থন করায়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার নিজের দলের মধ্যেই অনেকের বিদ্রোহের মুখোমুখি হন। প্রায় 24 জন পিটিআই সাংসদ বিরোধীদের দ্বারা আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে ইমরান খানের গদি যে যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারে, তা বলা যায়।