বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলা (West Bengal) নিয়ে সামনে এলো বিরাট বড় তথ্য। খুব শীঘ্রই ডুবতে চলেছে আমাদের রাজ্য। শুনতে ভয় লাগলেও এমনই তথ্য সামনে এনেছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কারণ পৃথিবীর অন্যতম বরফাবৃত অঞ্চল গলতে শুরু করেছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে গলছে আন্টার্টিকার বরফ। আর ঠিক এই কারণেই বিজ্ঞানীদের মনে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে ভীতির সঞ্চার ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত সেখানে গলে পড়ছে বড় বড় হিমবাহ, চোখের নিমেষে যাচ্ছে উবে। আর সেই হিমবাহ গলে জল এসে জমা হচ্ছে মহাসাগরে। এখানেই সঙ্কটের আশঙ্কা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।
জলের তলায় ডুবতে চলেছে বাংলা (West Bengal):
নাসার তথ্য বলছে, রোজ ৩৭ কোটি ২৮ লক্ষ কেজি বরফ গলছে আন্টার্কটিকায়। আর বছরে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ বিলিয়ন টন। বিশেষ করে, দক্ষিণ মেরু পশ্চিম দিকের বরফ গলার গতি বেড়েছে। সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। দক্ষিণ মেরুর যদি সব বরফ গলে যায় তাহলে বাংলার কপালে শনির দশা। আন্টার্কটিকা অভিযানে গিয়ে দক্ষিণ মেরুর অবস্থার প্রত্যক্ষ দর্শন করেছেন জলপাইগুড়ির আবহাওয়া বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী।
ঠিক কি দেখেছেন বাংলার আবহাওয়া বিজ্ঞানী: জানা যায়, ১৯৮৩ সাল থেকে ভারতীয়রা গবেষকরা যাচ্ছেন দক্ষিণ মেরুতে। আর সেখানে দক্ষিণ গঙ্গোত্রী নামের আর্থ স্টেশন কাজ শুরু হয় আজ থেকে ৪১ বছর আগে থেকে। এই কাজের জন্যই সেখানে রয়েছে দুটি রিসার্চ স্টেশন। সেখান থেকেই বাংলার আবহাওয়া বিজ্ঞানী প্রীতম দেখেছেন দক্ষিণ মেরুর ভয়ঙ্কর অবস্থা। যে পরিমাণ বরফ গলছে তাতে তিনিও আতঙ্কিত। তাঁর মতে, “আন্টার্কটিকার বরফ যদি পুরো গলে যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা জলের নিচে চলে যাবে।” শুধু প্রীতমই নন একই সাথে বহু বাংলার (West Bengal) আবহাওয়াবিদরা একই সুর মেলাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ২ বছর পর ফের একফ্রেমে দুই ভাই, জি এর একই সিরিয়ালে ফিরলেন ‘গাঁটছড়া’র রাহুল-কুণাল!
বাংলার অন্যান্য আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাও বলছেন আন্টার্কটিকার হিমবাহ গললে, পৃথিবীর জলস্তর বাড়লে চিন্তার কারণ অবশ্যই রয়েছে। কারণ তাঁদের মতে, বাংলায় অত পাহাড় নেই, যে মানুষ বাঁচতে পারবে। তাছাড়াও বাংলার বহু এলাকাই সমুদের উপকূলবর্তী ঘেঁষা, ফলে স্থল্ভাগেও জলের চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই কারণেই বিজ্ঞানীরা বাংলাকে নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। এইভাবে বরফ গলতে থাকলে একসময় যে বাংলা জলের তলায় ডুবে যেতে পারে, সেই আশঙ্কাও করছেন।
আন্টার্কটিকার বরফ গলার সঙ্গে বাংলার কি সম্পর্ক: আসলে আন্টার্কটিকার উত্তরে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে জল বাড়লে বঙ্গোপসাগরে চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর তাই সেখানে জলচাপ বাড়লে স্থলভাগের ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুনঃ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! রাজ্যে ফের বিপুল পদে শিক্ষক নিয়োগ! জারি বিজ্ঞপ্তি
তবে আজ আন্টার্টিকার এই বরফ গলার পিছনে বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে। একদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্টোদিকে অহরহ তুষার গলতে শুরু করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ বা হিমশৈল হল A23a, যার আয়তন ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এই হিমশৈলও ভেঙে গিয়ে ক্রমশ ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের দিকে এগোতে শুরু করেছে। অর্থাৎ আন্টার্কটিকার অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত শোচনীয়। তবে আগামী দিনে বাংলার (West Bengal) কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।