বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্টার জলসার (star jalsha) অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (serial) ‘খড়কুটো’ (khorkuto)। সিরিয়ালের টিআরপি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চরিত্রগুলির জনপ্রিয়তা। দর্শকদের মুখে মুখে ঘুরছে এখন ‘সৌগুন’ এর নাম। খড়কুটোর নায়ক নায়িকা সৌজন্য (soujonno) ও গুনগুনের (gungun) জুটিকে ভালবেসে এই নামই দিয়েছেন অনুরাগীরা।
তবে তৃণা ও কৌশিকের এখন অভিনেতা অভিনেত্রী ছাড়াও রয়েছে আরো একটি পরিচয়। দুজনেই যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। এক মাসের ব্যবধানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কৌশিক ও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তৃণা। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হওয়ার প্রভাব কি শুটিং সেটেও পড়েছে?
তৃণা জানান, রাজনৈতিক দল আলাদা হোক না, তাতে অনস্ক্রিন রসায়নে কোনো প্রভাব পড়ে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁদের রাজনৈতিক শিবির আলাদা হলেও শুটিং সেটে তাঁরা গুনগুন ও সৌজন্য। আগেও রাজনীতি নিয়ে সেটে আলোচনা হত না। এখনো হয় না বলেই জানান তৃণা।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি ছাড়াও আরো বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। তবে রাজনীতিতে এক মাসের ‘সিনিয়র’ সৌজন্যর থেকে কোনো টিপস তিনি নেন না বলেই জানান তৃণা। তাঁর যা জিজ্ঞাসা সব ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছে। তৃণার সঙ্গে সবুজ শিবিরে যোগ দিয়েছেন স্বামী নীল ভট্টাচার্য্যও। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন কথা বলেন তাঁরা।
অপরদিকে শুটিং সামলে দলের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন কৌশিকও। তৃণার মতো তাঁরও একই কথা। রাজনৈতিক মত আলাদা হলেও যদি দুজন মানুষ পেশাদার হন তাহলে কাজের কোনো অসুবিধাই নেই। কৌশিক আরো জানান, সেটে রাজনৈতিক আলোচনা হলেও খুব হালকা মেজাজেই হয় সেগুলো।
তবে সৌজন্য গুনগুন মতামত এক রকম হলেও তাঁদের কথা মানতে নারাজ নেটিজেনরা। নীল তৃণা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে মিম, ট্রোল। একই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা দুজন আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলে। এমন অবস্থায় মনোমালিন্য হতেই পারে আর তার আঁচ খড়কুটোতে পড়বে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত দর্শকরা।