বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Medinipur Medical College) একই দিনে সিজার হওয়া ৫ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে এই স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরজি করের কাণ্ডের আন্দোলনকারীরা? এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)!
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সেই সময় প্রসূতিদের চিকিৎসা করছিলেন ট্রেইনি ডাক্তাররা। কোনও সিনিয়র চিকিৎসক তখন ছিলেন না। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, এই স্যালাইন কাণ্ডের তদন্ত করবে সিআইডি। এবার এই ঘটনা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, ‘কোনও বিভাগের ক্ষতি হয়নি, শুধু গাইনি বিভাগের হয়েছে। শুধু ১সি ইউনিটের (প্রসূতি) ক্ষতি কীভাবে হল? সেখানে যিনি সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন, যিনি অ্যানাস্থেশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন, তদন্তকারীরা সেগুলো খতিয়ে দেখুন। ওই হাসপাতালের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী আরজি কর কাণ্ডের সময় বিক্ষোভ, সরকারি বিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন কিনা, তদন্তকারীরা দেখুন। একটা কুৎসা করে যে চক্রান্ত সফল হয়নি, এখন সরকারের বদনাম করতে কেউ কোনও চক্রান্ত করছেন কিনা সেগুলো সামনে আসুক’।
আরও পড়ুনঃ ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা! হাইকোর্ট বলল, ‘সমাজের জন্য খারাপ বার্তা যাবে’! কোন মামলায়?
একইসঙ্গে কুণালের প্রশ্ন, বেছে বেছে শুধুমাত্র একটা ইউনিটের একটা বিভাগের ক্ষতি কেন হল? এদিকে তৃণমূল নেতার এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম ‘মুখ’ অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, ‘কোনও রোগীর মৃত্যু হলে দু’জন মানুষ দুঃখ পান। একজন তাঁর পরিবার ও দ্বিতীয়জন তাঁর চিকিৎসক। দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই, যে কোনও শাসকই আন্দোলনের জুজু দেখেন। তাঁর কাছে সবসময়ই আন্দোলন ভয়ের। আপনি সেই ভয় দেখুন। তবে মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলবেন না’। অনিকেতের আরও প্রশ্ন, ওই নির্দিষ্ট স্যালাইন নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পরেও কেন তার ব্যবহার করা হচ্ছিল?
অন্যদিকে স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant) আবার বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। ট্রেইনি ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করেছেন। এটা তো গাফিলতি বটেই’। পাশাপাশি নিষিদ্ধ স্যালাইন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘যে নিষিদ্ধ স্যালাইন, যা ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারপর ফের গত ৭ তারিখ একই নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি সমস্যা পাওয়ার খবর পাওয়ার পর ওই সংস্থাকে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ করতেও বলা হয়। এরপর থেকে ওদের থেকে আর এই ব্যাচের স্যালাইন নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন বিপর্যয় হল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। কোনও প্রকার গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এই আবহে এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন শাসকদলের নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ইতিমধ্যেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।