বাংলা হান্ট ডেস্ক: IPL দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (Sunrisers Hyderabad) CEO কাব্য মারানের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, তাঁর পরিবারের মধ্যে একটি বড় বিরোধ চলছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কাব্যের বাবা তথা দক্ষিণ ভারতের বৃহৎ মিডিয়া কোম্পানি সান নেটওয়ার্কের মালিক, কলানিধি মারানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই বিষয়টি তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন সাংসদ দয়ানিধি মারান উত্থাপন করেছেন।
সমস্যার সম্মুখীন SRH (Sunrisers Hyderabad):
জানা গিয়েছে যে, আসল বিরোধ হল সান নেটওয়ার্কের শেয়ারহোল্ডিং নিয়ে। ২০০৩ সালের আগে, মারান পরিবার এবং করুণানিধি পরিবারের এই কোম্পানিতে সমান শেয়ার ছিল। কিন্তু ২০০৩ সালের পরে এতে পরিবর্তন আসে। অভিযোগ রয়েছে যে, কোম্পানির ফান্ডের অপব্যবহারের মাধ্যমে সান ডাইরেক্ট টিভি, সান পিকচার্স, এফএম চ্যানেল এমনকি IPL দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (Sunrisers Hyderabad) মতো কোম্পানিগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এখন যদি আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে পুরনো শেয়ার প্যাটার্ন (২০০৩ সালের) পুনরুদ্ধার করা উচিত, তাহলে সান নেটওয়ার্কের মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি, এর প্রভাব IPL দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (Sunrisers Hyderabad) ওপরেও পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: শুরু কাউন্টডাউন! যশস্বী-গিল-পন্থের পর এবার দাপট দেখাতে প্রস্তুত বৈভব সূর্যবংশী! পৌঁছলেন ইংল্যান্ডে
এমন পরিস্থিতিতে, BCCI-কে হস্তক্ষেপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে এবং সান টিভিকে দলটি বিক্রি করতে হতে পারে। যদি এমনটা হয়, তাহলে IPL-এ হায়দ্রাবাদের প্রতিটি ম্যাচে দেখতে পাওয়া কাব্য মারান হয়তো পরের বার দলের মালিক নাও হতে পারেন। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, এই বিরোধের দ্রুত সমাধান না হলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (Sunrisers Hyderabad) দল এবং তার অনুরাগীদের জন্য দুঃসংবাদ আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে প্রভাবিত নন আম্বানি! পেয়ে গেলেন ৪২ হাজার কোটির জ্যাকপট
IPL ২০২৫-এ SRH-এর পারফরম্যান্স: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, IPL ২০২৫-এ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (Sunrisers Hyderabad) পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। মোট ১৪ টি ম্যাচে, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৬ টি জয়, ৭ টি পরাজয় এবং ১ টি অমীমাংসিত ম্যাচ নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ছিল। কাব্য মারান এই মরশুমে হেনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), ট্র্যাভিস হেড (১৪ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নীতীশ কুমার রেড্ডিকে (৬ কোটি) ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু, ২০২৩ সালের তুলনায় এই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:
Made in India