বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা আবহের মধ্যেও বিয়ের সানাইয়ের কিন্তু বিরতি নেই। একগুচ্ছ তারকা পা বাড়িয়ে রয়েছেন বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বলে। এর মাঝেই বলিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়ালো চুপিচুপি বিয়ে করে নিয়েছেন কাজলের বোন তনিশা মুখার্জি (tanisha mukerji)। ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ট্রেন্ড মেনে গোয়াতে নাকি সাতপাক ঘুরে নিয়েছেন তিনি।
আসলে এই মুহূর্তে গোয়াতে ছুটি উপভোগ করছেন তনিশা। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন সমুদ্র পার থেকেই। ভ্যাকেশনের একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তনিশা। সেখানেই একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে গুঞ্জন। কী এমন রয়েছে সেই ছবিতে যার জন্য এত কানাঘুঁষো?
ছবিতে সমুদ্র সৈকতে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে তনুজা-কন্যাকে। হালকা ক্রিম রঙা সুইমসুটে দেখা মিলেছে তাঁর। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে তনিশার পায়ের আঙুলের আংটি। রূপোলি টো রিং শো অফ করে ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। আর এর জন্যই এত গুঞ্জন। আসলে ভারতীয় সংষ্কৃতিতে বিবাহিতা মেয়েরাই এই টো রিং পরে। তবে ইদানিং কালে ফ্যাশনের জন্য অবিবাহিতরাও দিব্যি পরে থাকেন এই কেতাদুরস্ত আংটি।
https://www.instagram.com/tanishaamukerji/p/CYQUeEIK1r8/?utm_medium=copy_link
তনিশা তাঁর বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। আপাতত তিনি ব্যস্ত ছুটি উপভোগ করতে। ছবিগুলিতে আরো একটি জিনিস বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে নেটনাগরিকদের। সেটি হল তনিশার পরনের হালকা নীল রঙা কুরুশের টপ। লকডাউনে নতুন জিনিস শিখে নিজে এই কুরুশের টপটি বানিয়েছেন বলে জানান তনিশা।
https://www.instagram.com/tanishaamukerji/p/CYVneE0hGRW/?utm_medium=copy_link
এর আগে তনিশা জানিয়েছিলেন, ৩৩ বছর বয়সেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তখন চিকিৎসক বলেছিলেন এখনি এমন কাজ করার দরকার নেই। কারণ তখন তিনি প্রাকৃতিক উপায়েই সন্তান নিতে পারতেন। তাই চিকিৎসক তনিশাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যখন তাঁর মনে হবে সন্তান ধারনের এটাই উপযুক্ত সময় কিন্তু তখন প্রাকৃতিক উপায়ে আর তা করা যাবে না তখনি তিনি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে পারেন।
সেই মতো ৩৯ বছর বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন তনিশা। কিন্তু এখন আর সন্তান ধারন করতে চান না তনিশা। বিয়ে তো দূর প্রেম করারও পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁর কথায়, মহিলারা শুধু সন্তান ধারনের জন্য নন। আর মা হতে মহিলার যে পুরুষকে লাগবেই তারও কোনো মানে নেই। সন্তান দত্তক নিয়েও মা হওয়া যায়। বরং এটাকেই মা হওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় বলেও মনে করেন তনিশা।