বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁর ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকেও প্রশ্ন উঠেছে। তবে রবিবার ফাইনালের দিন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন রোহিত। এরপরেই সমাজমাধ্যমে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। লিখেছেন, ‘রোহিতের এই সাফল্যের পিছনে অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য!’
নাম না করেই সৌগতকে নিশানা কুণালের (Kunal Ghosh)?
এই ‘অধ্যাপক রায়’ কে সেটা নিজের পোস্টে খোলসা করেননি তৃণমূল নেতা। তবে অনেকেই অনুমান করছেন, তিনি হয়তো দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে খোঁচা দিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হয়েছে লিখেছি! যে যার মতো করে বুঝবে!’
রোহিতের এই সাফল্যের পেছনে অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য !!!!! pic.twitter.com/5N3jLGIPcj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 9, 2025
এই বিষয়ে দমদমের প্রবীণ সাংসদ সৌগতকে (Sougata Roy) জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সমাজমাধ্যম দেখি না। কে কী লিখল, তা নিয়ে আমার কোনও কৌতূহল নেই। তখন ভালো খেলেনি, সেই কারণে দর্শক হিসেবে সমালোচনা করেছিলাম। এখন ভালো খেলেছে, প্রশংসা করছি’।
আরও পড়ুনঃ রোহিতের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন! ‘সৌগত দাদুকে একটু বকবেন’! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততেই ‘খোঁচা’ মমতাকে
এখানেই অবশ্য থামেননি সৌগত। রোহিতের প্রশংসা করলেও তাঁর আউট হওয়া নিয়ে বলেন, ‘রোহিতের অত তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি। সেটা না হলে তো ওভাবে স্টাম্প আউট হতো না’।
এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, রোহিত কেবল উপলক্ষ্য। আসলে সুযোগ পেলেই সৌগতকে নিশানা করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। এই বিষয়ে অনেকেই আবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের অন্দরে হওয়া নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের কথা মনে করছেন।
তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় বলেচিলেন, প্রত্যেক পেশার মতো রাজনীতিতেও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত। কারণ বয়স বাড়লে মানুষের প্রোডাক্টিভিটি হ্রাস পেতে থাকে। অন্যদিকে সৌগত পাল্টা বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে কেউ শ্রমিক নন। সেই কারণে কারখানার মতো উৎপাদনশীলতা মাপা যাবে না। কারণ এখানে তাঁদের অবদান সম্পূর্ণটাই বৌদ্ধিক’।
এরপর নাম না নিয়েই সৌগতর উদ্দেশে কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, দলের কিছু লোক ভাবেন বছরের পর বছর ধরে সাংসদ হওয়াটা তাঁদের জন্মগত অধিকার। দেহত্যাগ না করা অবধি, তাঁরা ইস্তফা দিতে রাজি নন। তাঁরা এও ভাবেন, দলের এক শ্রেণির কর্মী শুধু তাঁদের জন্য দেওয়াল লিখতে জন্মেছেন!