বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রথম সারির সংখ্যালঘু নেতা শুনলেই ভেসে ওঠে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মুখ। বিগত দেড় দশকেরও অধিক সময় ধরে এই স্থান ধরে রেখেছেন তিনি। বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি কলকাতার মেয়রের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ববি। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হচ্ছে ফিরহাদের (Firhad Hakim) বিকল্প?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফিরহাদ। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল কিংবা সম্পাদকের আসনে মুসলিম নেতারা থাকলেও দলের সংগঠনে এত শীর্ষ পদে ববি ছাড়া আর কোনও সংখ্যালঘু নেতাকে এতদিন দেখা যায়নি। তবে এবার সেই ছবি বদলাতে চলেছে বলে খবর।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ মুহূর্তে যদি কোনও বড় বদল না ঘটে, তাহলে তৃণমূলের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে চলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। এই তরুণ নেতা কৃষক পরিবারের ছেলে। পেশাগত দিক থেকে রসায়নের অধ্যাপক। তবে সংগঠক হিসেবে তুখোড়। এবার শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেক হতে চলেছে এই সামিরুলের।
আরও পড়ুনঃ ‘এক থালা ভাত’! তৃণমূল-বিজেপিকে টক্কর দিতে বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া দলের উত্থান! নাম কী জানেন?
এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মাথাচাড়া দিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত? অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছে এই জল্পনা। এমতাবস্থায় জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের অনেকে মনে করেন, ফিরহাদ (Firhad Hakim) দলের সংখ্যালঘু মুখ একথা ঠিক। তবে বিগত কয়েক বছরে সংকটজনক পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের আস্থা ধরে রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ সফল হননি ববি। আনিস খানের হত্যা পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে বগটুই কাণ্ড, একাধিক সময় দেখা গিয়েছে এই ছবি।
এছাড়া সামিরুলকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার কারণ হিসেবে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। সেটা হল দলের সংগঠনে পুরনোদের ব্রাত্য না করা হলেও নতুন প্রজন্মের হাতে আরও বেশি দায়িত্ব তুলে দেওয়া।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূলে নাম লেখানোর আগে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সামিরুল। মূলত অনগ্রসর শ্রেণিকে সংগঠিত করার কাজ করতেন বলে খবর। করোনাকালেও সামিরুলের নেতৃত্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যার্থে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করার পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ডের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এবার শোনা যাচ্ছে, দলের সংগঠনে আরও গুরুত্ব বাড়তে চলেছে সামিরুলের। তাহলে কি ফিরহাদের বিকল্প তৈরি করছে জোড়াফুল শিবির? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই চর্চা।