বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একে কোভিড তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আমফান, গত বছর এই দুয়ের মারাত্মক আক্রমণেই জর্জরিত হয়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এই বছরও একদিকে যখন রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কোভিড এবং কৃষ্ণ ছত্রাক, তখনই অন্যদিকে ফের একবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বা যশের ভয়ে আতঙ্কিত বাংলা।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ ধেয়ে আসছে ওড়িশা বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল গুলির দিকে। ইতিমধ্যেই নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৫ ও ২৬ তারিখ আগের মতই সারারাত কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দেবেন তিনি।
কোন কোন অঞ্চলে জারি হয়েছে সর্তকতাঃ
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগেরবার যেভাবে আমফান মোকাবিলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ, ঠিক সেভাবেই এবারও যশের মোকাবিলা করা হবে। ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে কড়া সর্তকতা। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোন অঞ্চল সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আমফানের থেকেও কী ভয়ঙ্কর হতে পারে যশঃ
গতবছর আমফানের দুঃস্বপ্নের স্মৃতি এখনো ভুলতে পারিনি বাংলা। আর সেই কারণে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, আমফানের থেকে উঠে শক্তিশালী হতে পারে এই ঝড় যশ? এ ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে হাওয়া দপ্তর। তাদের মতে সোমবার বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ইয়াস বা যশ।
এরপর উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগিয়ে বাংলাদেশ ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারেন বুধবার। তবে মঙ্গলবার থেকেই ঘন্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। বুধবার সকালের দিকে এই হাওয়ার গতিবেগ অঞ্চল অনুযায়ী কোথাও কোথাও ঘন্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটারও হতেcyclone পারে। দুপুর এবং বিকেলের দিকে হাওয়ার গতিবেগ বাড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি, সে ক্ষেত্রে তা পৌঁছে যেতে পারে ১০০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের মতে, এর থেকে আমফান ছিল অনেকটাই তীব্র। ঘন্টায় তার গতিবেগ ছিল প্রায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। করে বাড়তে বাড়তে তা ১৮৫ কিলোমিটার/ঘন্টা পৌঁছেছিল। তাই এক্ষেত্রে যশের তীব্রতা অনেকটা কম হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।