অবশেষে ISF প্রকাশ করলো প্রার্থী তালিকা, মুসলিমদেরই ঝটকা দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি

২১-র লড়াইয়ে শাসক থেকে বিরোধী দলগুলি অনেক আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও পিছিয়ে ছিল পীরজাদা আব্বাসের দল ISF। এমনকি সংযুক্ত মোর্চার বাম-কংগ্রেস জোটও তাদের প্রার্থী তালিকা আগেই প্রকাশ করে দেয়। অবশেষে ভোটের ময়দানে অন্যমাত্রায় চর্চিত আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট , তাদের ২০ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।

এর পাশাপাশি জানানে হয়েছে যে, এই আসনগুলো ছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে দেগঙ্গা, মগরাহাটের মতো কিছু আসনেও প্রার্থী দেওয়া হবে শরিক দল আইএসএফ-র তরফে। আসন সমঝোতা থেকে ধর্মীয় নিরপেক্ষতা বজিয়ে রেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় এই দেরি বলে দলীয় সূত্রে খবর।

ISF আব্বাস সিদ্দিকি

একনজরে আইএসএফ এর ঘোষিত প্রার্থী তালিকা….

১) রায়পুর থেকে আব্বাসের হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন মিলন মাণ্ডি। ২) মহিষাদল থেকে লড়াইয়ে নামছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
৩) চন্দ্রকোণায় প্রার্থী গৌরাঙ্গ দাস।
৪) খানাকুলে ফয়জল খান।
৫) মেটিয়াবুরুজ থেকে প্রার্থী হলেন নুরুজ্জামান।
৬) পাঁচলা কেন্দ্রে মহম্মদ জলিল।
৭) উলুবেড়িয়া পূর্ব আসনে আব্বাসউদ্দিন খান।
৮) কুলপি থেমে লড়াইয়ে নামছেন সিরাজউদ্দিন গাজি।
৯) মন্দিরবাজারে সঞ্চয় সরকার।
১০) জগৎবল্লভপুরের প্রার্থী শেখ সাব্বির আহমেদ।
১১) রানাঘাট উত্তর-পূর্ব থেকে লড়বেন দীনেশচন্দ্র বিশ্বাস।
১২) হরিপালে সিমল সোরেনই ভরসা পীরজাদার।
১৩) কৃষ্ণগঞ্জ থেকে প্রার্থী হলেন অনুপ মণ্ডল।
১৪) সন্দেশখালির প্রার্থী বরুণ মাহাতো।
১৫) অশোকনগর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তাপস চক্রবর্তী।
১৬) আমডাঙা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন জামালউদ্দিন।
১৭) বসিরহাট উত্তরে বাইজাদ আমিনই ভরসা আব্বাসের।
১৮) আসানসোল উত্তর মনোনীত প্রার্থী মহম্মদ মোস্তাকিম।
১৯) এন্টালি থেকে লড়বেন মহম্মদ ইকবাল আলম।
২০) চাপড়া আসনের প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্র।

এর মধ্যে চোপড়ার আসন নিয়ে সংযুক্ত মোর্চায় অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সেই আসনে পূর্বে সিপিআইএম এগিয়ে থাকায় আব্বাসের দল সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করায় ক্ষোভ দেখান স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দরা। এমনকি তারা দাবি করেন, ওই কেন্দ্রে আব্বাসের দল আইএসএফের কোনো ভিত্তি নেই। তাই তারা সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ারও দাবি জানান।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে আব্বাসের দল ঘোষণা থেকেই ধর্মীয় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অন্যান্য দলগুলি। এমনকি পীরজাদার আইএসএফের সঙ্গে জোট করায় সিপিআইএম কেও তাদের ধর্মীয় নিরোপেক্ষতার কাঠগোড়ায় দাঁড় করাতে শুরু করে বাকি দলগুলি।

এবার সেই প্রার্থী তালিকার মধ্যে দিয়ে উদারপন্থীদের জবাব দেয় আব্বাস। তার তালিকায় সংখ্যালঘু মুসলিমরাই। সেই মত আব্বাসও একাধিক বার ধর্মীয় নিরপেক্ষতা বজিয়ে রেখে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে দাবি করেন, ‘ ধর্মীয় নিরপেক্ষতা মনে ভোট এলেই মাজারে গিয়ে চাদর চড়ানো বা হিজাব পরা নয়। ধর্মীয় নিরপেক্ষতা মানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের সকলের সমান অধিকার।’ এবার প্রার্থী তালিকায় মুসলিমদের সংখ্যালঘু করে তার দাবি কেই প্রমাণিত করেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত খবর