কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকী! হঠাৎ কী হল? জোর শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহিদ মিনারে আইএসএফের সভা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছে। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। সোমবারই শর্তসাপেক্ষে সভার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। তবে স্পষ্ট বলা হয়, সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না আইএসএফ বিধায়ক তথা দলের মুখ নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique)। তবে তিনি ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিতে পারবেন বলে জানান বিচারপতি ঘোষ।

কোন দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ নওশাদের আইনজীবী?

এদিকে আজ শহিদ মিনার ময়দানে আইএসফের সভায় উপস্থিতির আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন নওশাদ। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইএসএফ বিধায়কের আইনজীবী। মামলা দায়ের এবং দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে মামলা দায়ের হলেও শুনানি আজ হয়নি। বুধবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে বলে খবর। এদিকে আজ বেলা ১২টা থেকে শহিদ মিনার ময়দানে আইএসএফের সভা ছিল।

উল্লেখ্য, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ মিনার ময়দানে সভা করতে চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ (ISF)। তবে পুলিশি অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাদের অভিযোগ ছিল, এই বিষয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দরকারি অনুমতি পাওয়া গেলেও পুলিশ সভা আয়োজনের অনুমতি প্রদান করছে না।

আরও পড়ুনঃআরজি কর কাণ্ডের সঞ্জয়ের ‘প্রাণ’ বাঁচালেন দুই মহিলা! তাঁদের পরিচয় শুনলে মাথা ঘুরে যাবে

সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) যাতে শহিদ মিনারের নীচে সভার অনুমতি না দেয় সেই জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জোরালো সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, বছর দুয়েক আগে ওই একই সংগঠনের উদ্যোগে ধর্মতলার সভা থেকে প্রচুর গোলমাল হয়েছিল। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। যে কারণে সেই সভার প্রধান বক্তা নওশাদ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই জন্য ওই অঞ্চলে তাদের সভা করার অনুমতি প্রদান করা হয়নি।

Calcutta High Court

পাল্টা জাস্টিস ঘোষ বলেন, সেই ঘটনায় যে অভিযুক্তরা রয়েছেন তাঁদের এই সভায় না ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি। তবে বছর দুয়েক আগে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা যায় না। এরপর রাজ্যকে মিটিং-মিছিলের জন্য জায়গা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে সেই স্থান সেন্ট্রাল কলকাতার বুকে ধর্মতলা বা তার সংলগ্ন চত্বরের বাইরে হতে হবে বলে জানায় আদালত।

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১২:৩০ থেকে ৪:৩০ অবধি সভা করা যাবে। তবে ৩ হাজারের অধিক জমায়েত করা যাবে না। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে রাখবে পুলিশ। তবে নওশাদ সহ যাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁরা সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এরপরেই সভায় উপস্থিতির আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন নওশাদের আইনজীবী। তবে সেই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর