বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গত রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হার স্বীকার করতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। একদিকে যেমন ব্যাটিংয়ে পান্থ এবং বিরাট কোহলি ছাড়া কেউই তেমন বড় যোগদান রাখতে পারেননি। তেমনি ভারতীয় দলের দলীয় ছিল ভীষণ হতাশাজনক। মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, বরুণ চক্রবর্তী দের বিরুদ্ধে একেবারেই অসুবিধায় পড়তে হয়নি পাকিস্তান দলকে। যার জেরে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়েছিলেন বাবররা।
এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিশেষত সূর্য কুমার যাদবের প্রদর্শন ছিল ভীষণ হতাশাজনক। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে আরব আমিরশাহীতে খুব বেশি রান করতে পারেননি তিনি। তারপরও দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪ নম্বর পজিশনে তাকে খেলার সুযোগ দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। আর তাই অনেকেই মনে করছেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই মোকাবিলায় দলে সুযোগ নাও পেতে পারেন সূর্যকুমার।
তরুণ ঈশান কিশান প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও মারকুটে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। হরভজন সিংয়ের মতো অনেক বিশেষজ্ঞই তাই তাকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অন্য একটি বড় সুবিধা হল ঈশান কিশান একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে জুটি গড়ে তুললে বোলারদেরও অসুবিধার মধ্যে ফেলতে পারবেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ এই মুহূর্তে পান্থ ছাড়া সেভাবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কেউই নেই। এই ক্ষেত্রে ঈশান কিছুটা বৈচিত্র আনতে পারবেন বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে তিনি মূলত টপ অর্ডারের খেলোয়াড়, চার নম্বরে কিভাবে এখনও সফল হতে দেখা যায়নি তাকে। তাই রোহিতের সঙ্গে যদি তিনি ওপেন করেন, সে ক্ষেত্রে চার নম্বরে খেলতে হবে কে এল রাহুলকে। রাহুল এখন যে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন তাতে চার নম্বরে আসলে অনেকখানি দেরি হয়ে যাবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যায়। অন্যদিকে মূলত চার নম্বরের খেলোয়াড় পাওয়ার প্লে পাবেন না, সেক্ষেত্রে তাকে অনেক বেশি খুচরো রান নেওয়ায় দক্ষ হতে হবে এবং একই সঙ্গে বড় শটের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে স্কোরবোর্ড। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সুযোগ পেলে সেই কাজ ঈশান কতটা করতে পারবেন সেটাই হলো আসল প্রশ্ন।