বাংলা হান্ট ডেস্ক: গোটা বিশ্বে ইসকনের (Iskcon) সেবায় নিযুক্ত অসংখ্য ভক্ত। যদিও একসময় কৃষ্ণভাবনা সংস্কৃতি শুধুমাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে কৃষ্ণ সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে আপামর বিশ্ববাসী। কৃষ্ণ সাধনায় নিযুক্ত বহু মানুষ। তবে বর্তমানে এই ইসকন নিয়েই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইসকন নিষিদ্ধের ডাক উঠেছে ওপার বাংলায়। যার রেশ এসে পড়েছে ভারতবর্ষে। একদিকে পদ্মার পাড়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে, অন্যদিক থেকে শোনা যাচ্ছে এই ইসকন নাকি আইফোনের জনককে বাঁচতে সাহায্য করেছে। আইফোন সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতাবে জড়িয়ে রয়েছে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
আইফোনের সাথে জড়িয়ে ইসকন (Iskcon):
যেকোনো প্রযুক্তি পরিষেবায় শ্রেষ্ঠ হচ্ছে অ্যাপেল (Apple)। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে আইফোন। শোনা যায় একসময় এই আইফোনের স্রষ্টা অর্থাৎ স্টিভ জোবসকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এই ইসকন (Iskcon) । স্টিভ জোবসের পাশে যখন কেউ ছিল না, তখন একমাত্র ভরসার স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই সেবা প্রতিষ্ঠান। আর সে কথা জানতে গেলে আপনাকে ফিরে দেখতে হবে কয়েক বছর আগের ইতিহাস।
কিভাবে ইসকন (Iskcon) স্টিভ জোবসকে সাহায্য করেছিলঃ আপেলের কর্ণধার স্টিভ জোবসের এই খ্যাতি একদিনের নয়। এই খ্যাতির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রয়েছে দিনের পর দিন ঘাম ঝরানো, কঠোর পরিশ্রম, এবং ক্ষুধার্ত রাতের কথা। তখন সদ্যই তিনি কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছেন। এরপর কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক। কিছু একটা হলেই হলো। শুধুমাত্র পেট চালানো যায় এমন কাজের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু এদিকে রোজগার নেই, ফলে হাতে টাকাও নেই। দিনের অর্ধেক সময় না খেয়েই থাকতে হতো তাকে। কিংবা খাবার জুটলেও দেখা যেত তাতে হয়তো পেট ভরছে না। এই কঠিন সময়ের কথা খোদ নিজের মুখে জানিয়েছেন স্টিভ জোবস।
কোকের ক্যান বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতেন: ২০০৫ সালে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন তিনি। আর সেই সময় জোবস নিজের সেই লড়াইয়ের দিনগুলির কথা জানান। বলেন, “থাকার মতো ঘর ছিল না, তাই বন্ধুর ঘরের মেঝেতে ঘুমোতাম। রাস্তায় ফেলে দেওয়া কোকের খালি বোতল ফেরত দিয়ে সামান্য অর্থ পেতাম। তাই দিয়ে খাবার কিনতাম।” তবে সপ্তাহের একটা দিন তার জীবনে ছিল ব্যতিক্রম। কারণ ওইদিন তিনি পেট ভরে খেতেন।
আরও পড়ুনঃ দূর হবে বৈষম্য! বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের জন্য বড় খবর! বৃহস্পতিতেই …
রবিবার করে যেতেন ইসকনে: সেই সময় গোটা সপ্তাহের মধ্যে শুধু রবিবারই তিনি পেট ভরে খেতে পারতেন। এই বিষয় স্টিভ জোবস বলেন, “প্রতি রবিবার রাতে ৭ মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম পেট ভরে খাবার খেতে।” অর্থাৎ বলা যায়, এই কঠিন সময় তাঁর পাশে ছিল একমাত্র (Iskcon)। যখন খাদ্যের অভাবে দিন কাটছে সেইসময়ই খাদ্যের যোগান দিয়েছে এই সেবা প্রতিষ্ঠান। আর সেকথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ Limited Offer! ১.৫ লাখ ছাড় TATA SUV গাড়িতে! 27km মাইলেজ, দুর্ধর্ষ ইঞ্জিন; কিনলেই বাজিমাত
আজকে যে আইফোন হাতে নিয়ে স্ট্যাটাস লাগাচ্ছেন, যে আইফোন নিয়ে এত উন্মাদনা সেই আইফোন স্রষ্টার লড়াইয়ের দিনগুলো ছিল অত্যন্ত কষ্টের। দিনের পর দিন মাথার ঘাম পায়ে ঝরিয়ে গড়ে তুলেছে নিজের সাম্রাজ্য। হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি পরিষেবা। যার পিছনে কোথাও গিয়ে থেকে গেছে ইসকনের (Iskcon) অবদান।