বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারত (India-Bangladesh) সহ গোটা বিশ্বের। সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা থেকে শুরু করে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি, সবমিলিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।
ভারতের অস্তিত্ব নিয়ে বাংলাদেশের (India-Bangladesh) ইসলামি নেতার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য
এই আবহেই ভারতের (India) ‘অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা’ নিয়ে বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) তোপ দাগলেন বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের মহাসচিব মওলানা ইউনুস আহমেদ। একটি বিবৃতিতে মওলানা বলেন, ‘ভারতের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে হবে, তাহলেই ভারতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন : হাসপাতালে ভর্তি পার্থ-সুজয়কৃষ্ণ! হঠাৎ কী হল? নিয়োগ দুর্নীতির কুন্তল-অরুণকে নিয়েও বড় খবর
বিজেপিকে নিশানা করে এই ইসলামি নেতার বক্তব্য, ‘বিজেপি যেভাবে ধর্মকে সহিংসতার উপলক্ষ বানিয়েছে, হিন্দু ধর্মমতেও তা সিদ্ধ না। এজন্য ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিজেপির সহিংসতার নিন্দা করা উচিত। মুসলিমদর নিরাপত্তার বিষয়টি ভারতের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারত স্বাধীন করতে মুসলিমদের অবদান ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। সেই ভারতে বিজেপি শাসনামলে যেভাবে মুসলিমদের নিশানা করা হয়েছে, তা কল্পনা করা যায় না।’
আরও পড়ুন : মহাকাশে কবে তৈরি হচ্ছে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন? বড় আপডেট সামনে আনল ISRO
বাংলাদেশের ইসলামি নেতার দাবি, মুসলিমরা এখন নাকি আর ভারতে নামাজ আদায় করতে পারেন না। এরই সাথে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মৌলানা বলেন, ‘হিন্দু আর মুসলমান মিলে-মিশে একটি নতুন দেশ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে আর মুসলমানদের প্রার্থনায় হিন্দুরা সহযোগিতা করেন। এভাবেই আসলে সভ্যতা টিকে থাকে।’
ইসলামি আন্দোলনের প্রধান নেতা যতই মুখে এই ধরনের কথা বলুন না কেন, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিত্রটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে নজর ঘোরাতে, ভারতের (India-Bangladesh) বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার শুরু করেছে সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি থেকে হিন্দুদের পদত্যাগ, একাধিক অনভিপ্রেত ঘটনার অভিযোগও উঠেছিল সেদেশে বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে। এই আবহে বাংলাদেশের ইসলামি নেতার এহেন মন্তব্য যে নেহাতই অপপ্রচার, তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই।