বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বামী মারা গেছেন। তবে স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাথায় সিঁদুর ও হাতে শাখা পরে নজিরবিহীন ঘটনা সৃষ্টি করলেন ইসলামপুরের এক মহিলা। স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে হিন্দু শাস্ত্র মতে মৃত স্বামীকেই পুনরায় বিয়ে করে এই মহিলা সবাইকে চমকে দিয়েছেন। মঞ্জু দেবীর এই সিদ্ধান্তকে এলাকাবাসীরা অনেকেই সমর্থন করেছেন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের থানা কলোনির বাসিন্দা মঞ্জু রায় স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে এই কান্ড ঘটিয়ে অনেককেই হতভম্ব করে দিয়েছেন। মঞ্জু দেবীর স্বামী স্নেহাশীষ রায় উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের কর্মী ছিলেন। স্ত্রী ছাড়াও স্নেহাশীষ রায়ের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। ২০২৩ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্নেহাশিস বাবুর।
আরোও পড়ুন : টালার থেকে ৬ গুন বেশি ক্ষমতা! রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধনাগার পেল হুগলি, লাভ হবে এই এলাকাগুলোর
স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর মঞ্জু রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রীর শাখা ও সিঁদুর ফেলে দিতে হয় স্বামীর মৃতদেহের উপর। স্নেহাশীষ বাবুর মৃত্যুর পর অন্যান্য নারীদের মতোই মঞ্জু দেবীর শাখাও ভেঙ্গে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয় কপালের সিঁদুর। যদিও মন থেকে এসব কিছু মেনে নিতে পারেননি মঞ্জু দেবী।
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে পাল্টে গেল হাওড়ার লোকাল ট্রেন! মিলবে এই সব সুবিধা, ভোলবদল দেখলে চমকে উঠবেন
তারপর সন্তানদের থেকে অনুমতি নিয়ে স্বামীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে হিন্দু শাস্ত্র মতে মৃত স্বামীকেই বিয়ে করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কপালে পরেন সিঁদুর ও হাতে গলান শাখা। গত ২৫ শে জানুয়ারি স্নেহাশীষ বাবুর ছবির সামনে পুনরায় মৃত স্বামীকে বিয়ে করে নজির সৃষ্টি করলেন মঞ্জু দেবী। সব মিলিয়ে বলা যায়, চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি।
মঞ্জু দেবী জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহ হল সাত জন্মের বন্ধন। স্নেহাশীষ বাবুর দেওয়া সবকিছুই আমার সাথে রয়েছে। তার সন্তান, বাড়ি সবকিছুই আমার। তাহলে কেন শাখা, সিঁদুর ত্যাগ করতে হবে? তবে, এ কথা ঠিক যে মঞ্জু দেবীর এই সিদ্ধান্ত আরো অনেক স্বামীহারা স্ত্রীকে ভিন্ন ভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।