শুক্রুবার সন্ধেয় দিল্লীতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে যে ঘটনা ঘটেছে তা এখন আন্তর্জাতিক মহলে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজরায়েল ঘটনাটিকে আতঙ্কবাদী হামলা বলে ব্যাখ্যা করেছে। অন্যদিকে ভারত জানিয়েছেন যে দোষীদের ছাড়া হবে না। বিস্ফোরণের পর মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশকিছু রাজ্যে সুরক্ষা ব্যাবস্থা কড়া করে দেওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরনের পর পুলিশের স্পেশাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ জানিয়েছে যে বিস্ফোরণ ফুটপাতে হয়েছে। বিস্ফোরণ বিকেল ৫ টে ৫ মিনিটে হয়েছে। এতে ৪-৫ টি গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে। বিস্ফোরণের কারন খোঁজার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতিনিয়াহু ভারতের উপর ভরসা দেখিয়েছেন। উনি বলেছেন যে ভারতের উপর পূর্ন বিস্বাস আছে। ভারত ইজরায়েলের লোকজন এবং ইহুদিদের সুরক্ষা প্রদান করবে এ নিয়ে ইজরায়েল সরকার সুনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বেঞ্জামিন নেতিনিয়াহু। লক্ষণীয় বিষয় যে, বিস্ফোরণের কিছু সময় আগেই ভারত ও ইজরায়েল ২৯ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ইজরায়েল দূতাবস টুইট করেছিল। টুইটে তার এই বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে একটা ভিডিও পোস্ট করাও হয়েছিল।
https://twitter.com/IsraelinIndia/status/1355081280040427520?s=19
দিল্লীতে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে হওয়ার বিস্ফোরণের পর একটা চিঠি উদ্ধার হয়েছে।
ওই চিঠিতে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে হওয়া ধামাকাকে ‘ট্রেলার” বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ইরানি সৈন্য কম্যান্ডার সুলেমানী আর ইরানের নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্ট মোহসিন ফখরজাদেহ’র হত্যার বদলা নেওয়া হবে। সুত্র অনুযায়ী এই মামলার তদন্তে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদও যুক্ত হতে পারে।