বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ থামার নামই নিচ্ছে না। সাতদিন ধরে চলা এই যুদ্ধে রবিবার ইজরায়েল বড় পদক্ষেপ নিয়ে গাজা পট্টিতে থাকা হামাসের প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি করে। আরেকদিকে, জঙ্গি সংগঠন হামাসও ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে হামলা চালায়। রাতভর তুমুল বোমাবাজি চলে। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানান, তাঁদের করা এয়ার স্ট্রাইকে কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছে।
রবিবার সকাল সকাল ইজরায়েল আল-সিনবারের বাড়িতে কার্পেট বম্বিং করে। সিনবার ২০১৭ সালে থেকে হামাসের রাজনৈতিক আর সৈন্য বিভাগের প্রধান। তবে এখনও এটা জানা যায় নি যে, হামলার সময় হামাসের প্রধান সেখানে উপস্থিত ছিল কি না।
ইজরায়েলে রকেট হামলা সাইরেন বাজতেই সবাই বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তেল আভিভ আর তাঁর আশেপাশের অঞ্চলে প্রায় ১০ জন ইজরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন। সোমবার থেকে শুরু এই হিংসা গাজাতে কমপক্ষে ১৪৮ জন মারা গিয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ জন বাচ্চাও আছে। ইজরায়েলের ১০ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। এদের মধ্যে ২ জন শিশু আছে।
আমেরিকা, রাষ্ট্রসঙ্ঘ আর ইজিপ্টের দূত দুই দেশের মধ্যে শান্তি কায়েম করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয় নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সুরক্ষা পরিষদে আজ এই অশান্তি নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে।
ইজরায়েল আর হামাস দুজনেই জানিয়েছে যে, এই হামলা চলতে থাকবে। একদিন আগেই ইজরায়েল গাজায় একটি বহুতল বিল্ডিংকে ধ্বংস করে দেয়। ওই বিল্ডিংয়ে আল জাজিরা সমেত অনেক মিডিয়া গ্রুপের দফতর ছিল। আরেকদিকে, ইজরায়েল জানিয়েছে যে, ওটা হামাস নিজেদের সৈন্য কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করত। আর এই কারণেই তাঁরা ওই বিল্ডিংটিকে নিশানা করেছে। তবে হামলার আগে তাঁরা সেখান থেকে নাগরিকদের বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল বলে জানায় ইজরায়েল।