বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত ১১ দিনের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে মিশরের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইন। কিন্তু তারপর একমাস না কাটতে কাটতেই ফের একবার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ল দুই যুযুধান পক্ষ। গতবার আল-আকসা মসজিদে মুসলিম জমায়েত এবং পাথর বর্ষণকে কেন্দ্র করে জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল ইজরায়েল। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শত শত মানুষ। সেই লড়াইয়ের দগদগে ঘা মিটতে না মিটতেই ফের একবার যুদ্ধাস্ত্র হাতে তুলে নিল মধ্য এশিয়ার এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ইজরায়েলি সেনা তরফে জানানো হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে বেলুনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। বিস্ফোরক বোঝাই এই বেলুন গুলির কারণে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গা। তার জবাব দিতে গিয়েই বৃহস্পতিবার থেকে ফের একবার এয়ার স্ট্রাইকের আশ্রয় নিতে হয়েছে ইজরায়েলকে। গাজা সিটি এবং গাজার দক্ষিনে অবস্থিত শহর ইউনূসে লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েলী বোমারু বিমান গুলি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
ইতিমধ্যে ইজরায়েলের সরকার বদলেছে। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন নাফতালি বেনেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী তাঁর অনুমোদনেই প্যালেস্টাইন অধিকৃত জেরুজালেমের বেশ কিছু অংশে জাতীয়তাবাদী মিছিল করে ইহুদি দক্ষিণপন্থীরা। তার থেকেই ফের একবার শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইনের বরাবরের অভিযোগ তাদের দেশ বেআইনিভাবে অধিকার করার চেষ্টা করছে ইজরায়েল। অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি, প্যালেস্তানিদের এই ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিশেষত দক্ষিণপন্থী নেতাদের অনেকেই প্যালেস্টাইনের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে। আবার অন্যদিকে জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসও মনে করে পুরো দেশটাই প্যালেস্টাইন হওয়া উচিত, ইজরায়েলের কোন অস্তিত্ব নেই। আর তাই বারেবারেই এই দুই দেশ জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে।
এক সময় দুই দেশের প্রধান ইয়াসির আরাফাত এবং রবিন এই সমস্যা সমাধানের খুব কাছাকাছি চলে এলেও রবিনের মৃত্যু হতেই গোটা ঘটনার মোড় আবার অন্য দিকে ঘুরে যায়। তাই এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের এক মর্মান্তিক সত্য। এখন আগামী দিনে এই দ্বন্দ্ব কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।