বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইজরায়েল (Israel) ভারত (India) সহ বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই প্যালেস্তাইনি (Palestine) চরমপন্থী সংগঠন হামাসকে (Hamas) জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছে। ইজরায়েল আগাগোড়াই হামাসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করার দাবি তুলে এসেছে। কিন্তু এটাই প্রথমবার যে, তাঁরা ভারতের কাছে এই নিয়ে বিশেষ ভাবে আবেদন জানিয়েছে। ইজরায়েলের এই আবেদন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মানা হচ্ছে।
ভারতের সম্প্রতি বয়ানের পর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ভারত তাঁদের পুরনো নীতি বদলে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন নিয়ে নতুন বিদেশ নীতি আপন করবে। প্রথমে ভারত প্যালেস্তাইনের সমর্থক ছিল, কিন্তু এখন ভারতের অবস্থান একটু ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। ভারত যেমন পূর্ব জেরুসালেমের যথাযথ পরিস্থিতি বদলের বিরোধিতা করেছেন, তেমনই হামাস দ্বারা ইজরায়েলে একের পর এক রকেট হানারও বিরোধিতা করেছে।
ইজরায়েল জানিয়েছে যে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রালয়ের আঞ্চলিক সুরক্ষা আর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিভাগের প্রধান নেভো বরচড দাবি করেছেন যে, হামাস পাকিস্তানের বদলে মালয়েশিয়ার জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জেরুসালেমে প্রেস কনফারেন্সের সময় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাসের সম্পর্কের সম্ভাবনার প্রশ্নে বরচড এই কথা বলেছেন।
বরচড বলেছেন, ‘আমি পাকিস্তানের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক নিয়ে অবগত নই। আমরা হামাস আর মালয়েশিয়ার মধ্যে কিছু সম্পর্ক নিয়ে অবগত। মালয়েশিয়ার কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক আছে। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে এরকম কিছু আছে বলে আমরা জানি না।”
ইজরায়েল আর হামাসের মধ্যে ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সমাপ্ত হওয়ার পর এই প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। পূর্ব জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদে রমজান মাসে একদল মানুষ নামাজ শেষে সরাসরি ইজরায়েলের বিরোধিতায় নেমেছিল, এমনকি তাঁরা ইজরায়েল পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়েছিল বলেও জানা যায়। এরপরই ইজরায়েল আর হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা ১১ দিন পর্যন্ত চলে।
বরচড বলেন, ‘ভারতের শক্তি আছে। ওঁরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ওদের অনেক গুরুত্ব আছে। আমাদের মতে ভারত সহ গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ হামাসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করা। এরপরই হামাসের নানান উৎসগুলোর বিষয়ে জানা যাবে।