রাজীব মুখার্জী হাওড়া
তিন তালাক বিল আইন করে তাঁদের জীবন বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের বড় দাদার মতো রক্ষা করেছেন। সেজন্য ‘বড়দা’ মোদিকে নিজেদের হাতে রাখি পাঠাচ্ছেন তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম মুখ ইশরাত জাহান। হাওড়া শহরের পিলখানা অঞ্চলের বাসিন্দা ইশরাত বললেন, ‘শুধু মোদির জন্যই তিন তালাক এখন অপরাধমূলক কাজ। উনি সারা দেশের মুসলিম মহিলাদের বড় দাদার মতোন। সেজন্যই আমি আমার বড়দার জন্য রাখি পাঠাচ্ছি। কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই এটা সম্ভবপর হয়েছে৷ তিন তালাকের মতো একটা প্রথা সাজাযোগ্য বলে গণ্য হয়েছে৷ দেশের সমস্ত মুসলিম মেয়েদের কাছে উনি বড় দাদার মতো৷ তাই আমাদের দাদার জন্য আমরা রাখি তৈরি করছি৷ এতদিন ধরে ব্যাধীর মতো তিন তালাক প্রথা নিয়ে বয়ে বেরাতে হচ্ছিল মুসলিম মেয়েদের৷ মাথা নীচু করে থাকতে হত তাঁদের৷ কিন্তু এখন আক্ষরিক অর্থে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন তাঁরা৷
অন্যদিকে, রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেছিলেন আইন করলেও তারা মানবেন না। তারা শুধু শরীয়াত আইন অনুযায়ী চলবেন।
উল্লেখ্য, প্রথমবারে না হলেও, ক্ষমতায় এসেই তিন তালাক বিল পাশ করে দ্বিতীয় মোদি সরকার৷ ১৯ মাসের নিরলস পরিশ্রমে প্রথমে লোকসভায়, তারপর রাজ্যসভাতেও পাশ হয় এই বিল৷ ৯৯-৮৪ ভোটে সংসদের উচ্চকক্ষে পাশ হয় বিলটি৷ দীর্ঘকাল পুরুষশাসিত সমাজের বাঁধন ছেড়ে এবার মুক্তির হাওয়া উপভোগ করতে পারেন সংখ্যালঘু মহিলারা৷ যদিও বিলের বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধীদের একাংশ৷ ভোটদানে বিরত থাকে বিএসপি, টিআরএস৷ সংসদে অনুপস্থিত থাকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এনসিপির বেশ কয়েকজন সাংসদ৷ এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে পুরোপুরি সমর্থন করে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি৷