বাংলাহান্ট ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) আকাশে যুদ্ধের ঘনঘটা। সিরিয়ার (Syria) দামাস্কাস (Damascus) বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা চালাল ইজরায়েলের (isreal) যুদ্ধবিমান। বোমাবর্ষণে মৃত ৫ সিরীয় সেনার। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বিমানবন্দরটিরও। শনিবার সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়।
জানা যাচ্ছে, দামাস্কাস বিমানবন্দরের পাশাপাশি সিরিয়ার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায় ইজরায়েলী বিমান। তবে সিরীয় সেনাবাহিনীর মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের পালটা আক্রমণে অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস হয়েছে। হঠাৎ কেন এই হামলা? ইজরায়েলী সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দামাস্কাস বিমানবন্দরের মাধ্যমে সিরিয়া ও লেবাননকে হাতিয়ার দিচ্ছে ইরান। শুধু তাই নয়, লেবানিজ জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লাকেও অস্ত্র পাঠাচ্ছে তেহরান। সেই জোগান বন্ধ করতেই বিমানবন্দর ও অস্ত্রের ভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়।
বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে লেবাননে অঘোষিত সরকার চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়া হেজবোল্লা। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জেহাদই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। লেবাননের নির্বাচিত সরকার থাকলেও ক্ষমতার রাশ সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর হাতে। মাঝে মাঝেই ইজরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালায় হেজবোল্লা।
২০২১ সালের মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সংঘর্ষে ২৫৬ জন প্যালেস্তানীয়র মৃত্যু হয়।
এরপরই জুন মাসে হেজবোল্লার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল গাজায় ইজরায়েল হামলা। লেবানন পৌঁছন হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়েহ। তিনি লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ও স্পিকার নাভিহ বেররির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তারপর লেবানিজ জেহাদি সংগঠন হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর থেকেই গোটা ঘটনাবলির উপর নজর রাখতে শুরু করে ইজরায়েল।