হামাসের সঙ্গে চলা সংঘর্ষের মাঝেই চীনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ইজরায়েল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় এগারো দিন আগে আল-আকসা মসজিদে ইজরায়েলি সেনার গুলিবর্ষণ নিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল দ্বন্দ্বে সবেমাত্র ঘোষিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মসজিদে গুলিবর্ষণের ঘটনার পরেই ইজরাইলকে হুঁশিয়ারি নিয়েছিল ফিলিস্তানি জঙ্গী সংগঠন হামাস। আর এর পরেই ইজরায়েলের উপর রকেট বর্ষণ শুরু করে তারা। প্রতুত্তর দেয় ইজরায়েলও। এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। যার মধ্যে রয়েছে পঞ্চাশেরও বেশি শিশু। কিন্তু যুদ্ধ থামবার কোন লক্ষই দেখা যাচ্ছিল না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও জানিয়েছিলেন , গাজার জঙ্গি সংগঠনকে চিরতরে বিনষ্ট করে তবেই থামবে ইজরায়েল।

একদিকে যখন দুই দেশের এই সংঘর্ষ নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব, তখনই আবার চীনের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়ালো ইজরায়েল। ঘটনাটি ঘটে চীনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভির একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে আলোচিত বিষয় ছিল গাজা এবং ইজরায়েলের সংঘর্ষ। ইজরায়েলের দূতাবাসের দাবি এই অনুষ্ঠানে তীব্র বিরোধী মন্তব্য করা হয়েছে। আর এই কারণেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে ইজরায়েলি দূতাবাসও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যদিও কিছুক্ষণ আগে ঘোষিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি তবে চীন এর চেষ্টা চালাচ্ছিল আগে থেকেই। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিরতির জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘে সওয়ালও করেছিল তারা। কিন্তু আমেরিকার ভেটো প্রদানে তা শেষ পর্যন্ত আটকে যায়।

অন্যদিকে চীনের সরকারি মিডিয়ায় এ ধরনের ইহুদি বিরোধী মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ইজরায়েলের দূতাবাস। সম্প্রতি একটি টুইটে তারা জানিয়েছে, “আমরা ভেবেছিলাম বিশ্ব ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণের যে ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল এক সময় তা হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ইহুদি বিরোধীদের মুখ আবার প্রকাশ্যে এলো। চীনের একটি অফিসিয়াল মিডিয়ায় এ ধরনের ইহুদি-বিদ্বেষ দেখে আমরা স্তম্ভিত।” যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি চীনের ওই সরকারি চ্যানেলের পক্ষ থেকে। তবে ইজরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র এরেটজ কাটজ ওলোওয়েলস্কি বলেছেন, ইজরায়েল এর সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে চায় না। অর্থাৎ এটাই তাদের অফিসিয়াল অবস্থান।

এই মুহূর্তে গাজা এবং ইজরায়েলের দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রভাব পড়েছে ভারতেও। যদিও ভারত বারবারই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রয়োজন সেনাদল সরিয়ে নেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি। তবে এই মুহূর্তে চীনের প্রতি ইজরায়েলের এই মন্তব্য আগামী দিনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর